তারুণ্যের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে মাস্টার শাহাবুদ্দিন কুইজ প্রতিযোগিতা

  © টিডিসি ফটো

তারুণ্যের সৃজনক্ষমতা, সৃষ্টিশীলতা, মেধা বিকাশে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজারের চকরিয়ার শিক্ষামূলক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাস্টার সাহাব উদ্দিন ট্রাস্টের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘মাস্টার সাহাব উদ্দিন কুইজ প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রায় ৫টি ধাপে রেজিষ্ট্রেশন করা হাজারো মেধাবী তারুণ্যের সৃজনক্ষমতা, সৃষ্টিশীলতা এবং মেধা বিকাশে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে মাস্টার সাহাব উদ্দিন ট্রাস্টের এবারের আয়োজন ছিল লাইভ কুইজ প্রতিযোগিতা।

চকরিয়া উপজেলার প্রায় ২ হাজার রেজিষ্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫শ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে লাইভ কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনের শেষে উর্ত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদপত্র এবং ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও ট্রাস্টের সেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বেস্ট সেচ্ছাসেবী পুরস্কার দেয়া হয়।

আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরহান মাহমুদ রুবেল, চকরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জনাব ইন্দ্রজিৎ বড়ুয়া, সরকারি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক জসিম উদ্দিন।  

এছাড়াও, আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালি চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং মাস্টার শাহাবুদ্দিন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা জনাব শাহাবুদ্দিন।

কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে জনাব শাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পৃথিবীর মধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। একাত্তরে এই বিজয়ের মাসে দেশের সাধারণ মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছিল তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব উগ্রতা, সংঘাত, সন্ত্রাসবাদ দেশের সাধারণ মানুষের জনজীবন করেছে দুর্বিষহ। আজ এ বিজয়ের মাসে, আমাদের দেশের জাতীয় চেতনায় উজ্জীবিত ও অগ্রতার মেলবন্ধনে আবদ্ধ করার লক্ষ্যে আজকের এই আয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই সংগঠন গঠিত হয়েছিল ১৫ জন আত্মত্যাগী যুবকদের নিয়ে। পরবর্তীতে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ১০০ এরও বেশি বিপর্যস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং বন্যায় কবলিত প্রায় ২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্নজয়ে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম অব্যাহত রয়েছে। 

পরিশেষে তিনি, কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করার পরিকল্পনা জানান এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দশ হাজার বৃক্ষরোপণ করবেন বলেও জানান।

এর আগে বাংলাদেশে করোনার ঢেউ সামাল দিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে আর্থিকভাবে বিপাকে পড়া নিম্ন আয়ের ১০০ টিরও বেশি পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন  নেহাল সাবিত ও তার ট্রাস্টের স্বেচ্ছাসেবক তরুণরা। তাদের এই কার্যক্রম বর্তমানে চলমান অবস্থায় আছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের মাঝেও ছড়িয়ে যেতে দেখা যায় মাস্টার শাহাব উদ্দীন ট্রাস্ট এর স্বেচ্ছাসেবকদের। 

প্রসঙ্গত, সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের প্রাথমিক চাহিদা পূরণে সহযোগিতার জন্য ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় মাস্টার শাহাব উদ্দীন ট্রাস্ট। এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। জনসাধারণ এবং বিভিন্ন কল্যাণকামী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয় এই প্রতিষ্ঠান।

এটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হলো- তরুণ-তরুণীদের মাদক ছেড়ে উদ্দীপিত আশাবাদী জীবনে আগানোর লক্ষ্যে দারিদ্র্যপীড়িত অদম্য মেধাবীর অপরাজেয় স্বপ্নজয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ জয় করে সামনে এগোনোর প্রচেষ্টা করা।


সর্বশেষ সংবাদ