১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৫৭

নাশকতাকারীদের কোনো ক্ষমা নেই: প্রধানমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নাশকতার করছে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তাদের জন্য কোনো ক্ষমা নেই। তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) গণভবনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াত চক্র গাজীপুরে রেললাইন উপড়ে ফেলেছে। আমি জনগণকেও বলবো তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। যারা মানুষ মারার জন্য রেললাইন উপড়ে ফেলে বা রেললাইন কেটে দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ মারার কল্পনা করে বা জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে এদের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ বলে কিচ্ছু নেই। এটা জনগণকেই প্রতিহত করতে হবে। সেটাই আমার আহ্বান সারা দেশের মানুষের প্রতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গ্যাস কাটার মেশিন দিয়ে প্রায় ২০ ফুট রেল ট্র্যাক কাটার ফলে নেত্রকোনা থেকে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের আটটি বগি গাজীপুরে লাইনচ্যুত হয়ে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মানে কি? এর আগেও কয়েকবার এ ধরনের কাজ বিএনপি সন্ত্রাসীরা করেছে, সেটা সাথে সাথে ধরা পড়েছে। কাজেই আমরা সেখানে মানুষকে বাঁচাতে পেরেছি। কিন্তু এটা হয়েছে একেবারে ভোর রাতের দিকে, সাড়ে ৪টার দিকে। গ্যাস সিলিন্ডারসহ, গ্যাস কাটার মেশিন দিয়ে এই রেললাইন কেটেছে। ওটা ফেলে চলে গেছে। ওটা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ঢাবিতে আলোচনা করতে পারলেন না শিক্ষকরা

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না এই আন্দোলন করে কি পাবে তারা। বিএনপি যে এই জ্বালাও পোড়াও করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা অবরোধ আর হরতাল ডেকে যাচ্ছে। হরতাল অবরোধ মানে কি কয়েকখান বাস পোড়ানো, গাড়ি পোড়ানো, যাত্রীসহ বাস পোড়ানো।

তিনি বলেন, এই দেশে তারা কি রাজনীতি করে, তাদের দলটা কোথায়। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্য। যেখানে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, সেই সময় যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটায় এদেশের ভবিষ্যৎটা কি। সেটাই আমার প্রশ্ন।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, জনগণের কাছে যাবে, জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার তো কোন চেষ্টা আমাদের নাই। আমরা যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি দেশের উন্নতি করছি এবং দেশে যে উন্নতি হয়েছে এটাতো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে বাংলাদেশটা বদলে গেছে।

তিনি বলেন, আমাদের তো হাওয়া ভবন নেই। কাউকে পাওনা দিয়ে ব্যবসা নিতে হয় না। ব্যবসায়ীরা স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করতে পারেন। অন্তত এইটুকু সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী এবং তিন সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার ও যশোদা জীবন দেবনাথ এবং সংগঠনটির নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা।