এবারের নির্বাচনে গণতন্ত্র আরও পারফেক্ট হবে: ওবায়দুল কাদের
আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এই নির্বাচনে গণতন্ত্র আরও পারফেক্ট হবে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন হবে। আমরা ক্রমেই গণতন্ত্রকে ত্রুটিমুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এই নির্বাচনে গণতন্ত্র আরও পারফেক্ট হবে।
আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণ উন্মুখ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে তারা যতই নাশকতা করুক, মানুষ কিন্তু নির্বাচনমুখী হয়েছে। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী, মানুষ ভোট দিতে উন্মুখ। আজকে গ্রামে-গঞ্জে ভোটারদের মধ্যে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ নির্বাচন আমাদের সফল করতে হবে। এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে হবে এবং ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা আমাদের পার্টি, আমাদের সমমনা দলগুলো সবাই আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি।
আসছে নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টির সরে যাওয়ার আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় পার্টি তো আমাদের বলে গেছে তারা নির্বাচন করতে চায়। জোটে থাকতে চায়। তারা তো বলেনি যে তারা সরে যাবে। শঙ্কা, আশঙ্কা থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাবির রাজু ভাস্কর্য কালো পতাকায় ঢেকে দিয়েছে ছাত্রলীগ
জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে ১৭-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরাও এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে চাই। ১৭ তারিখে তো সব পরিষ্কার হয়ে যাবো। ১৭, ১৮ তারিখ, সে পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করি। অস্বস্তির কোনো কারণ নেই।
কাদের বলেন, আমাদের জোট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শঙ্কা, গুজব, গুঞ্জন আছে। তবে আমরা সতর্ক আছি। আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না। আমাদের তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আমরা রাখিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আছে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে, অন্যান্য দলও আছে। এবার নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কারও নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়াও যথাসময়ে নির্বাচন হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সতর্ক আছি, গুজব, গুঞ্জন, সন্ত্রাস, সহিংসতা আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না। আমরা বিচলিত হবো না। জেনে শুনেই এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে আমরা নির্বাচন করছি। আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করবো।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে নির্বাচন প্রলম্বিত হবে, বিঘ্নিত হবে, এটা আমরা হতে দেবো না। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে নির্বাচন করার বিকল্প অন্য কিছু আমাদের মাথায় নেই। নির্বাচনের মাধ্যমেই আমাদের জবাব দিতে হবে বলেও জানান তিনি।