ফের পেছালো মির্জা আব্বাসের দুর্নীতি মামলায় রায়
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১৬ বছর আগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার রায় পিছিয়ে ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ দিন ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আজ মির্জা আব্বাসের দুর্নীতি মামলার রায়ের জন্য ছিল। বিচারকের বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাই মামলার রায় প্রস্তুত হয়নি। আগামী ২৮ ডিসেম্বর রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
গত ২২ নভেম্বর দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ৩০ নভেম্বর ধার্য করেন। তবে ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর ধার্য করেন আদালত।
আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে অন্য চারজন হলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০/৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলায় গত ১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন মির্জা আব্বাসের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।