মির্জা আব্বাসের দুর্নীতি মামলার রায় আজ
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ (১২ ডিসেম্বর) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে ২২ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য গত ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। তবে ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।
এ মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি দুদকের। ফলে সংস্থাটি বিএনপির এ নেতার সবোর্চ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে তার সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশাও দুদকের। তবে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরীর দাবি, দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। রায়ে মির্জা আব্বাস খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা রয়েছে।
২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদক উপ-পরিচালক মো. শফিউল আলম। মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তদন্তে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে অন্য চারজন হলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০/৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলায় গত ১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন মির্জা আব্বাসের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন । বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।