১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:২৪

আগামী ৭ দিন পেঁয়াজ কেনা বর্জনের ডাক ফেসবুকে

পেঁয়াজ কেনা বর্জন-এর ডাক ফেসবুকে  © সংগৃহীত

ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় দেশের বাজারে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ভারত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বাংলাদেশে এর দাম রাতারাতি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আগামী ৭ দিন পেঁয়াজ কেনা বন্ধের ডাক দিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

পেঁয়াজের দাম বাড়তি হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানগুলোতে পেঁয়াজ কেনা ও বিক্রির পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। কারণ এত বেশি দাম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনছেন অল্প পরিমাণে। কারণ ঘণ্টায় ঘণ্টায় বেড়েছে পণ্যটির দাম।

এ অবস্থায় 'আগামী সাতদিন পেঁয়াজ বর্জন' শীর্ষক ইভেন্ট খোলা হয়েছে ফেসবুকে। এ ইভেন্টে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। ক্রমেই বেড়ে চলেছে এর সংখ্যা। ইভেন্টের চাওয়া প্রসঙ্গে বলা হয়, 'সবাই মিলে সাতদিনের জন্য পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করি। যেহেতু এটা পচনশীল পণ্য, তাই ব্যবসায়ী এবং মজুতদাররা অটোমেটিক লাইনে চলে আসবে (সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে)।'

এদিকে, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, শান্তিনগরসহ কয়েকটি খুচরা বাজারে দেখা গেছে, দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৪০ টাকা দরে। আর ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে। তবে কিছুটা কম দামে পাওয়া গেছে চায়না পেঁয়াজ। 

আরও পড়ুন: পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়ও

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রতিবেশী ভারত। ৮ ডিসেম্বর এ আদেশ জারি করে দেশটির সরকার। এদিন বিকেলে বাংলাদেশের বাজারে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রাতেই দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। তবে রাত পোহাতেই দাম আরও এক দফায় বেড়েছে।