০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৩

একই দিনে দুই নিয়োগ পরীক্ষা, অংশ নিতে পারছেন না অনেকেই

  © সংগৃহীত

আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের প্রথম পর্বের লিখিত পরীক্ষা ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের সদস্যভুক্ত ১০টি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

এই দুটি চাকরির পরীক্ষার সূচি একই দিনে একই সময়ে হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের আপত্তি ছিল। তাছাড়া বিএনপির দশ দফার অবরোধ শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত থাকায় দূরদূরান্ত থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে যেতে শঙ্কার পাশাপাশি বাস-ট্রেনের টিকিট নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নেয়া তাদের জন্য শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ব্যাংকার্স সিলেকশন সিনিয়র অফিসার পোস্টের লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৪ জন (১০৫৭৪)। এছাড়াও প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ। বড় এই দুটি পরীক্ষা অনেক পরীক্ষার্থীর শেষ পরীক্ষা। তারা বলছেন, তাদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা প্রায় শেষ।

শুক্রবার প্রথম ধাপের এই নিয়োগ পরীক্ষায় রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই নিয়োগ পরীক্ষায় অর্ধেকের বেশি পরীক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে নিজ জেলার বাহিরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করছে। দেশের এই হরতাল ও অবরোধের কারণে বুধবার ও বৃহস্পতিবারে মধ্যে আমরা নিজ জেলায় যেতে পারছি না। এর সাথে জীবনের ঝুঁকিও রয়েছে।

আরও পড়ুন: অবরোধে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কি প্রমাণ করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক?

নুর আলম নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমার বাড়ি রংপুর। আমি ঢাকায় থাকি। আজ আমার এক সঙ্গে প্রাথমিক ও ব্যাংকে লিখিত পরীক্ষা। একটি ঢাকায় অন্যটি রংপুরে। কি করবো বুঝতেই পারছিলাম না। অবশেষে প্রাথমিকের পরীক্ষাটা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এছাড়া বাসের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছিল না। আমার কয়েজজন বন্ধু অনেক কষ্টে রংপুরে পৌঁছায়। এক সঙ্গে দুই পরীক্ষায় হওয়ায় আমার জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।

আজহারুল ইসলাম নামে এক চাকরি প্রত্যাশী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি ঢাকায় থাকলেও পরীক্ষা দিতে হবে লালমনিরহাটে। হরতাল-অবরোধের কারণে কোনো টিকিট পাইনি। ফলে আজ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে যেতে পারলাম না। আমার সাথে থাকা বান্ধবীদেরও একই অবস্থা।

তাছাড়া ঢাকায় অবস্থানরত বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রাথমিকের পরীক্ষার জন্য তাদের ঢাকা থেকে পরীক্ষা দিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে হবে। অনিরাপত্তার জন্য অনেকে বাড়িতে যাননি।