২৮ অক্টোবর হামলার সময় ফখরুলের অবস্থান নিয়ে যা জানাল আইনজীবী
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে তাকে জামিন না দিয়ে রুল জারি করেন। কেনো মির্জা ফখরুলকে জামিন নয় তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের ৭ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দাখিল করতে বলা হয়।
গত সোমবার (৪ নভেম্বর) মির্জা ফখরুলের জামিন দ্রুত শুনানির আবেদন করে তার আইনজীবীরা। পরে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
শুনানিতে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী বলেন, ঘটনার দিন মির্জা ফখরুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। সেই সঙ্গে সমাবেশের সময় মাইকের লাইনও কাটা ছিল। একই সঙ্গে এ মামলার ১১ নং আসামি শাহজাহান ওমরসহ তিনজন জামিনে আছেন। তাই অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে মির্জা ফখরুলকে জামিন দেয়া হোক। যদিও জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে, গত ২২ নভেম্বর এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। ২৮ অক্টোবর রাতে গ্রেপ্তারের পর ডিবি অফিস থেকে মির্জা ফখরুলকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।