০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:২৯

তুর্কি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট কমিশনের সভাপতি বাংলাদেশি তানভীর

মুহাম্মাদ তানভীর  © সংগৃহীত

বাংলাদেশী শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ তানভীর তুরস্কে দ্যা ন্যাশনাল তুর্কি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের ১০৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট কমিশন’ বিষয়ক সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। যিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুল কমার্স ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত আছেন। 

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দ্যা ন্যাশনাল তুর্কি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। এর আগে গত ১৮ই নভেম্বর দ্যা ন্যাশনাল তুর্কি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (MTTB) ৬২তম জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটির তুর্কিশ ছাত্র তাহসিন বাশারি সংগঠনটির ৬২তম সভাপতি নির্বাচিত হন। 

তুর্কী স্টুডেন্ট ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন ইয়াসিন গোকচে। এ ছাড়াও সাংগঠনিক কমিশনের সভাপতি চাঁরি তুয়গার, কর্পোরেট রিলেশন কমিশনের সভাপতি মেহমেত আরিকান, সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক কমিশনের সভাপতি মুজতেবা সাইদ দেরেজি, সংগঠন কমিশনের সভাপতি তাইয়েপ এমরে কোচ, বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের সভাপতি ইয়াভুজ তাহা কুর্তোউলো, মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের সভাপতি ওমের কাজাক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান কমিশনের সভাপতি মুহাম্মেদ মোস্তফা আলিজি, সামাজিক বিষয়ক কমিশনের সভাপতি ইউসুফ গুল্লু, প্রচার ও মিডিয়া প্রধান আজিজ মের্ত কাহরামান এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমিশনের সভাপতি হয়েছেন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী মুহাম্মদ তানভীর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তুর্কির বর্তমান পার্লামেন্ট স্পিকার নোমান কুরতুলমুশ, সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার ইসমাইল কাহরামান সহ রাষ্ট্রীয় আমলা, ইস্তানবুলের মেয়র এবং পার্লামেন্ট সদস্যগণ। যাদের অধিকাংশই ছাত্র জীবনে এই সংগঠনটির সদস্য ছিলেন।

নবনিযুক্ত ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট কমিশনের সভাপতি মুহাম্মদ তানভীর বলেন, তুরস্কে ছাত্রদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে শতবর্ষী এই  সংগঠনটি। এমন একটি উর্বর সংগঠনের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট কমিশনের সভাপতি হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত, সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। একজন বাংলাদেশী হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্টদের নিয়ে কাজ করার মতো আনন্দের আর কিছু হতে পারেনা। আশাকরি, ভালো কিছু দিতে সক্ষম হবো। উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে তুর্কিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানসহ প্রত্যেক দেশের সাথে একটি সেতুবন্ধন তৈরির চেষ্টাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, দ্যা ন্যাশনাল তুর্কি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন নামক সংগঠনটি ১৯১৬ সাল আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীন রিপাবলিকান তুর্কি গঠন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র গঠন এবং মেরামতসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে ভূমিকা রেখে আসছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছে। আয়া সোফিয়া নামক মসজিদটি মিউজিয়াম থেকে মসজিদ হিসেবে ধর্মীয় কার্যক্রম চালু করার ক্ষেত্রে সংগঠনটির অবদান ছিলো অনস্বীকার্য।