মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় গড়াগড়ি করে কান্না প্রার্থীর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বারান্দার মেঝে গড়াগড়ি করে কেঁদেছেন এক প্রার্থী। ওই প্রার্থীর নাম আবদুল আলী বেপারী। তিনি মনিকগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। রবিবার (৩ নভেম্বর) কাগজপত্র গরমিল থাকায় তার প্রার্থীতা বাতিল করে মানিকগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন আবদুল আলী বেপারী। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা গ্রামে। একসময় তিনি ইট-বালু সরবরাহের ব্যবসা করতেন। এখন তেমন কিছু করেন না। আবদুল আলীর ছেলে ও দুই মেয়ের সবাই শিক্ষিত। তিনি স্বশিক্ষিত। পরিবারের সদস্যরা চান না আবদুল আলী নির্বাচন করুন। আবদুল আলী বেপরীর শখ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। এর আগেও তিনবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিবারই তিনি জামানত হারিয়েছেন। এবার প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেন।
আজ বেলা একটার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল আলীরটি বাতিল ঘোষণা করেন। সেখানেই তিনি গড়াগড়ি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে সেখানে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে সান্ত্বনা দেন।
আবদুল আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখন আমার ভোটাদের মুখ দেখাব কেমনে? আমি আর বাঁচুম না। আমি ভোট দিতে না পারলে মরুম, আমার জীবন রাখুম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আমার ভোট আমাকে দিয়ে যেন মরতে পারি। আমার বিশ্বাস আছে, মানুষ আমাকে ভোট দেবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাইতে চাইছিলাম। যেকোনো চক্রান্তের মাধ্যমে আমার নমিনেশন (মনোনয়ন) বাদ দেওয়া হইচে। আমি এই চক্রান্ত বিশ্বাস করি না। আমাকে আমার ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।’
এ প্রসঙ্গে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রেহেনা আকতার জানান, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন ও টিন সার্টিফিকেট এবং স্বতন্ত্র-সমর্থক ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিল থাকায় ওই প্রার্থী (আবদুল আলী বেপারী) মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।