৫ বছরে বার্ষিক আয় বেড়েছে ২৮ লাখ, কোটি টাকার বাড়ি শিক্ষা উপমন্ত্রীর
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বার্ষিক আয় ৭৯ লাখ ২৮ হাজার ৭২৮ টাকা। এছাড়া বিগত পাঁচ বছরে কোটি টাকার বাড়ির মালিক হয়েছেন তিনি। বেড়েছে স্থায়ী আমানতও। একই সঙ্গে ঋণ বেড়ে হয়েছে ১০ গুণ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া হেভিওয়েট প্রার্থী নওফেলের নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
ইসিতে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নওফেল কৃষি খাত থেকে ৩৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ টাকা ও পেশা সম্মানী হিসাবে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ১০৮ টাকা আয় করেন। এ ছাড়া চাকরি থেকে বছরে ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য খাতে ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ১৭০ টাকা আয় তার।
গত সংসদ নির্বাচনের সময় বছরে তার আয় ছিল ৫০ লাখ ৪৫ হাজার ৩০০ টাকা। ওই সময় নওফেল ও তাঁর স্ত্রীর কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। এবার তাদের ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা স্থাবর সম্পত্তি হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে নওফেলের নামে ৪ লাখ টাকার কৃষিজমি, ১ কোটি টাকার দালানকোঠা এবং স্ত্রীর নামে ৩৫ লাখ টাকার দালান থাকার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইআইইউসি থেকে নদভীর মাসিক আয় সাড়ে ১১ লাখ টাকা
হলফনামায় দেখা যায়, পাঁচ বছরে উপমন্ত্রীর ব্যাংক ঋণ বেড়েছে ১০ গুণ। ২০১৮ সালে ব্যাংক ঋণ ছিল ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৫ টাকার। বর্তমানে ব্যাংক ঋণ রয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭২ টাকা।
অন্যদিকে শিক্ষা উপমন্ত্রীর নিজের নামে বর্তমানে নগদ আছে ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৯৪ টাকা, যা গতবারের হলফনামায় ছিল ৩০ লাখ টাকা। গতবার তিনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের ঘরে ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮২ টাকা দেখালেও এবারের হলফনামায় সেখানে কিছুই উল্লেখ করেননি।
বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দেখিয়েছেন ১০ লাখ টাকার। তার পোস্টাল সেভিংস রয়েছে ৬ কোটি ২ লাখ ১৭ হাজার ৪১২ টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে বর্তমানে তার ঋণ ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, যা পাঁচ বছর আগে ছিল ৩২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এই হিসাবে নওফেলের ঋণ বেড়েছে প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।