মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করে তারা দেশের শত্রু। তাদেরকে শুধু প্রতিহত করলেই হবে না, বরং হুকুমদাতা ও মদদাতাসহ মূলোৎপাটন করতে হবে। রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো, বাস পোড়ানো, জনদুর্ভোগ তৈরি করা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও এমন ‘অগ্নিসন্ত্রাসের’ রাজনীতি নেই।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যারা আগুন সন্ত্রাস করেছিল, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা গেলে ২০২৩ সালে পুনরায় বিভিন্ন স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটতো না। ২০১৩ সালে বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মানুষের গায়ে আগুন দিয়েছে, ২০২৩ সালে তার ছেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগুন দিচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা ও রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি নেই। তারা সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। ইসরায়েলি বাহিনীর মতো হাসপাতালে প্রবেশ করে এম্বুলেন্সে আগুন দেয়। গত একমাসে তারা ৫৮০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এটা কী ধরনের রাজনীতি!
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ছড়ানো ভিডিও নতুন শিক্ষাক্রমের অংশ নয়: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, এসবের পরও কেউ কেউ তাদের সাথে আলোচনার জন্য বিবৃতি দেয়। সন্ত্রাসীদের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা হতে পারে না।
এসময়, বিএনপি ও জামাতের এই ‘আগুনসন্ত্রাসের রাজনীতি’ প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। পুনরায় ক্ষমতায় আসলে এদেরকে নির্মূল করার ঘোষণাও দেন তিনি।
এতে সংহতি জানিয়ে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বিএনপি জামাতের ‘অগ্নিসন্ত্রাসীদের ’ বিচার আরও আগেই করা দরকার ছিল। কিন্তু বিচার করতে গেলে পিটার হাসের মতো ব্যক্তিরা ফুসে ওঠেন। মানবাধিকারের কথা বলেন। পিটার হাসকে বলব, আগুনে পুড়ে যাওয়া এসব মানুষকে নিজের অফিসে ডেকে কথা বলুন। দেখুন, কিভাবে বিএনপি-জামাত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এরা দেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করতে চায়। এদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, বিএনপির হামলার উদ্দেশ্য মানুষর মাঝে আতঙ্ক তৈরি করা এবং দেশের অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করা। বোমা বিস্ফোরণের ফলে প্রতিনিয়ত দেশের অর্থ নষ্ট হচ্ছে। এদেরকে রুখতে হবে। নইলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে যাওয়ার যে স্বপ্ন, তা ব্যহত হবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বাবুলসহ বিভিন্ন সময় আগুন সন্ত্রাসের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা।