৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৮

এইচএসসির ফল: নিজের রোল সার্চ দিলে আসছে অন্য শিক্ষার্থীর তথ্য

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ  © সংগৃহীত

অনলাইনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল জানতে নিজের রোল নম্বরে সার্চ দিলে আসছে অন্য শিক্ষার্থীর তথ্য। ফল নিয়ে এমন জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছেন ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫১ জন। একই অবস্থা একই উপজেলার মর্নিং সান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের। সেখানে ৬১ জনসহ প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থীর ফল নিয়ে এমন জটিলতা তৈরি হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদুল আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভালুকা মর্নিং সান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে নিজ কার্যালয়ে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর ৫৬ জন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেন। পরে তাদের নামে আসা প্রবেশপত্রে উল্লেখিত রোল নম্বর অনুসারে তারা সব পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলে পরীক্ষার্থীরা কলেজে গিয়ে জানতে পারেন, তাদের রোল নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়েন।

আরও পড়ুন: ৭০ হাজার আসনে ভর্তির লড়াই ৯২ হাজার জিপিএ-৫ ধারীর

মর্নিং সান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, শতভাগ পাসের নিশ্চয়তায় তারা মনিং সান কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেন। ফল প্রকাশের দিন তারা কলেজে গেলে কর্তৃপক্ষ তাঁদের হাতে নতুন রোল নম্বর বসানো আরেকটি প্রবেশপত্র ধরিয়ে দেন।

শতভাগ পাসের নিশ্চয়তা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান জুয়েল বলেন, তাঁরা বোর্ডের নিয়মের বাইরে কোনো টাকা নেননি। তার কলেজ থেকে এ বছর ৮১৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ৬১ জনের রোল নম্বর পরিবর্তন হয়েছে।

ইউএনও এরশাদুল আহম্মেদ জানান, মর্নিং সান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয়ে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শামছুল ইসলাম জানান, হয়তো অসতর্কতার জন্য কিছু রোল নম্বর ডুপ্লিকেট হয়েছিল। পরে রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঠিক রেখে রোল নম্বরগুলো সংশোধন এবং যাচাই-বাছাই করে নির্ভুলভাবে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সংশোধিত প্রবেশপত্র ফল প্রকাশের এক মাস আগে নিজ নিজ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা চাইলে ফল পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করতে পারবেন।