নির্বাচনী জটিলতায় বই উৎসব পেছাতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের কারণে এবার বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি বই উৎসব করা নিয়ে ‘সংশয়’ দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি জানান, ‘এবার বই উৎসবটা ঠিক ১ তারিখে (জানুয়ারি) করবো নাকি নির্বাচনের পরে ১০-১১ তারিখে হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
অবশ্য এর আগে গত বুধবার চাঁদপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী জানুয়ারির ১ তারিখে বই উৎসবের বিষয়ে জানিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, আগামী জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে আমাদের বই উৎসব হবে। উৎসব করার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের লটারি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে লটারিটা হচ্ছে, সেটাও আরও পরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা নভেম্বরের মধ্যেই এটা শেষ করছি আজকে। আবার বার্ষিক পরীক্ষা, বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নও এগিয়ে এনে দ্রুত শেষ করছি। নির্বাচনের আগের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি সেটা আমাদের অবশ্যই মাথায় নিতে হবে, বিবেচনা করতে হবে।’
মাধ্যমিকের লটারির ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে নবম শ্রেণি ও ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির বই ছাপানোর কাজ শুরু না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেগুলো এখনো ছাপানো শুরু হয়নি। সেগুলো সব ছাপানো শুরু হয়ে যাবে। বই উৎসব যখনই করি না কেন, শতভাগ বই শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বই উৎসব নিয়ে এখন আমাদের ভাবতে হচ্ছে। যেহেতু ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। নির্বাচনের পরের সময়টা আসলে কেমন থাকবে, সেটাও আমাদের একটু বিবেচনায় নিতে হবে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়। সে কারণে এবার বই উৎসবটা ঠিক ১ তারিখে করবো নাকি নির্বাচনের পরে ১০ থেকে ১১ তারিখ করবো, সেটা নিয়ে একটু সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি। সার্বিক অবস্থাটা বিবেচনায় নিয়ে খুব শিগগির সেটা জানাতে পারবো।’
এর আগে বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে বিনামূল্যে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিচ্ছে। তবে গত বছর তাতে ছেদ পড়ে। কয়েক ধাপে শিক্ষার্থীদের হাতে শতভাগ বই পৌঁছানো হয়। পাশাপাশি বইয়ে ভুল-ত্রুটি নিয়েও চরম বিতর্কের মুখে পড়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।