অপপ্রচার রোধে নির্বাচনের দিন ফেসবুক বন্ধ রাখতে চায় ইসি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এ বিষয়ে নানা সিদ্ধান্ত সামনে আসছে। নির্বাচন নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন বেশ কয়েকজন সচিব। ভোটের দিন কেউ যাতে অপপ্রচার চালাতে না পারে, সে জন্য ফেসবুক বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
গত ১ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ওই সভা হয়। বৈঠকে উপস্থিত একজন সচিব সোমবার (২০ নভেম্বর) একটি গণমাধ্যমকে জানান, ভোটের দিন ফেসবুক চালু রাখলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
তিনি আরও জানান, একটি ঘটনাকে বিকৃত করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে পারে গুজব রটনাকারীরা। সে জন্য ওই সভায় বেশ কয়েকজন সচিব ফেসবুক বন্ধের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ভোটের দিন ফেসবুক বন্ধ রাখার মতামত এসেছে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সামনে এ বিষয়ে বৈঠক আছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্রে জানা যায়, পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া ফেসবুক বন্ধের বিষয়টি তুলে ধরেন। পরে কয়েকজন সচিব এ প্রস্তাবের পক্ষে মতামত দেন। তাঁদের আলোচনায় বলা হয়, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এতে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ফেসবুকে অপপ্রচার বন্ধের বিষয়ে গত আগস্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির মূল কোম্পানি মেটা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন কেউ যাতে অপপ্রচার, বিদ্বেষ, সহিংসতা ও বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের আরেকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।