জবি ছাত্রী খাদিজার একদিন পর মুক্তির কারণ জানাল কর্তৃপক্ষ
সর্বোচ্চ আদালত জামিনের আদেশ দেওয়ার এক পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরাকে। সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। পরে আদালতকে দেরিতে মুক্তি দেওয়ার কারণ জানানো হয়েছে।
পরে কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মোরশেদ আদালতকে জানান, সন্ধ্যার পর আসামি ছাড়ার নিয়ম নেই। সে কারণে রোববার কারামুক্ত করা যায়নি খাদিজাকে। এরই মধ্যে পরীক্ষায় বসেছেন খাদিজা। পরে আর কোনো আদেশ দেননি আপিল বিভাগ।
এর আগে খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সোমবার (২০ নভেম্বর) বিষয়টি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চে নজরে আনলে আদালত এ নির্দেশ দেন।
খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, খাদিজার জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল। তাকে আটকে রাখা হয়েছে অন্যায়ভাবে। এটা আদালত অবমাননা বলে অভিযোগ তার।
আরো পড়ুন: কারাগার থেকে বেরিয়েই পরীক্ষার হলে জবি ছাত্রী খাদিজা
গত বৃহস্পতিবার জামিন পান খাদিজা। রোববার (১৯ নভেম্বর) জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছায়। পরে আজ সোমবার সকালে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এর আগে রোববার সারাদিন পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে অপেক্ষা করেন খাদিজার মুক্তির আশায়। কিন্তু রাত ১১টা পর্যন্ত মুক্তি না পাওয়ায় তারা ফিরে যান।