ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একে অপরকে দুষছে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় একে অপরকে দায়ী করছে শাখা ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল।
জানা যায়, আজ রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ বাইকে করে এসে পর পর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কবি জসিমউদদীন হল ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মঈনুল হাসান বিজয় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমি এবং আমার ২ বন্ধু মোটরসাইকেলে করে ক্যাম্পাসের দিকে আসছিলাম। মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ পার হবার সাথে সাথেই বিকট দুটো শব্দ হয়।বাইক দ্রুত চালিয়ে ভিসি চত্বরে পৌছাতে দেখি প্রচন্ড ধোঁয়া উড়ছে।সেখানে দেখি দুটো ককটেল ফাটানো হয়েছে।একটা বাইকে করে ৩ জন এসেছিল। এদেরকে আমরা ধাওয়া করি কিন্তু ধরতে পারি নি।এরা মূলত ক্যাম্পাসের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করে ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা ইতিমধ্যেই সিসি টিভি ফুটেজ চেক করছি। এখনো বিষয়টা পরিষ্কার না যে কে করেছে। গতবার যাদের শণাক্ত করেছিলাম তারা দুজন খুব দ্রুততার সহিত এসেছিলো এবং পেছনের জনের হাতে ককটেল ছিলো। এবারও শণাক্ত করার পর জানিয়ে দেওয়া হবে।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে একে অপরকে দায়ী করছে ঢাবি ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল।
ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এগুলো সবাই জানে যে এগুলো কারা করছে। যারা যুগে যুগে এগুলো করে আসছে, যারা যুগে যুগে মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করতে চায়, যারা মানুষের জানমালের ক্ষতি করতে চায়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে চায় তারাই এগুলো করেছে। তবে তাদের (ছাত্রদল) একটি কথা জেনে রাখা উচিৎ এধরণের চোরা গুপ্ত হামলা করে অতিতেও কিছু হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
এদিকে ককটেল ফাটানোকে ছাত্রলীগের নাটক বলছে শাখা ছাত্রদল। শাখা ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ছাত্রদল শিক্ষার্থী বান্ধব সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা এধরণের কাজের সাথে কখনোই সম্পৃক্ত ছিলাম না এখনো নেই। এটা ছাত্রলীগের সাজানো নাটক। দুইদিন আগেও তারা এধরণের নাটক করে নিজেদের কর্মীদেরকেই ধরিয়ে দিয়েছিলো পরে তাদেরকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামও একই কথা জানান।
এর আগে ১৫ নভেম্বর ঢাবির টিএসসির ডাস ক্যাফেটেরিয়ার পাশেই পর পর পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।