আজকের দিনটি ব্যাচেলরদের
ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে দিনগুলো উদযাপন করেন অনেকেই। তবে কি সিঙ্গেলদের জন্য কিছুই নেই? আপনি সিঙ্গেল হয়ে থাকলে আজকের দিনটি আপনার। আজ ১১ নভেম্বর, ব্যাচেলর দিবস।‘একা আছি ভালো আছি, নিজেই নিজেকে ভালোবাসি’। আপনি জানেন, যদি আপনার কোন ১ম সম্পদ থেকে থাকে সেটা আপনি। তাই নিজেই নিজের নাম ডেকে বলুন আমি তোমাকে ভালোবাসি।
একা থাকার আনন্দ একবার যারা পেয়ে যান, পেয়ে যান স্বাধীনতার সুখ, কিছুতেই তারা প্রথাগত প্রেমের শৃঙ্খলে বাঁধা পড়তে চান না। সিঙ্গেল মানেই নির্ভেজাল নির্বিবাদী জীবন। ঝাড়া হাত-পা। গায়ে হাওয়া লাগিয়ে নিজের মতো নিজের জীবনকে যাপন। একা থাকলেই তো নিজেকে বেশি ভালোবাসা যায়।
অনেকে তো প্রায়ই বলেন, অন্য কাউকে ভালোবাসতে হলে আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। নিজের প্রতি অনেক যত্নশীল হওয়া যায়। আজকের দিন তাদের জন্যই -একাকীত্বের দুঃখ ভুলে আজ সময় কাটান নিজের জন্য। ঘুরতে যেতে পারেন পছন্দের কোনো জায়গায়। পছন্দের রেস্তোরাঁয় গিয়ে না হয় একটু ভালোমন্দ খেয়েও নিতে পারেন আজ।
নিজের শখের যে জিনিসটি কিনব কিনব করে কেনা হয়ে উঠছিল না, আজ সেটি কিনে ফেলতে পারেন। কিংবা অন্য কোনো উপহার কিনে নিজেই নিজেকে দিন। বিপরীতে ব্যাচেলর বন্ধুরা সব মিলে আজকে হোক জম্পেশ ব্যাচেলর পার্টি।
সিঙ্গেল জীবন নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন মিশনের ভাষ্য, আমার কাছে সিঙ্গেল থাকার কোনো নেতিবাচকতা নেই। বরং সিঙ্গেল থাকা যেমন উপকার তেমনি মজারও। কারণ সিঙ্গেল লাইফে নেই গার্লফ্রেন্ডের প্যানপ্যানানি, তার অভিমান ভাঙানোর জন্য আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করা লাগে না, জন্মদিনের গিফট নিয়েও থাকে না কোনো প্যারা। সামান্যতেই কেউ অভিযোগের তীর আমার দিকে ছুঁড়তে পারে না। তাছাড়া একা থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো নিজের প্রতি মনোনিবেশ করতে পারা, নিজেকে বেশি ভালোবাসা, নিজেকে সময় দেওয়া। সিঙ্গেল লাইফে নিজের প্রতি অনেক যত্নশীল হওয়া যায়। আমি এ জীবনটাকে উপভোগ করি।
'সিঙ্গেল ডে' কীভাবে এলো? ১৯৯০ সালে চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এটি চালু হয়। নভেম্বর ইংরেজি বর্ষের ১১তম মাস। ফলে সব মিলিয়ে এতে আছে চারটি এক: ১১-১১। প্রতিটি এক আসলে একক ব্যক্তির প্রতিনিধিস্বরূপ। অর্থাৎ পাশাপাশি থেকেও যে একা থাকা যায়, ১১ নভেম্বর যেন তা-ই বোঝাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাস লাইফে প্রেমে বিচ্ছেদ হলে নিজেকে সামলাবেন যেভাবে
আপনি জানলে অবাক হবেন, চীনে সিঙ্গেল ডে-কে এতটাই গুরুত্ব দেয়া হয় যে দিবসটিতে সরকারি ছুটি থাকে। দিনটির তাৎপর্য হলো আনন্দের ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া। এই দিনে লোকেরা বিলাসবহুল অবকাশ, উপহার এবং পরিষেবার সঙ্গে নিজেদের আচরণ করে এবং নিজেদের সঙ্গে থাকার আনন্দ উদযাপন করে।
ভ্যালেন্টাইন ডে-তে যারা মন খারাপ করেন, তারা আজ দিনটি অনেক ভালো করে উদ্যাপন করুন। নিজেকে সময় দিন, নিজের যত্ন নিন। কেননা, দিন শেষে জীবনযুদ্ধে সবাইকে পাশে পান বা না-পান, নিজেকে কিন্তু আপনি কখনোই ছেড়ে যাবেন না। আগলে রাখবেন সবসময়। তাই এক জীবনে মনের মতো কাউকে না পেলে গাঁটছাড়া সম্পর্কে না জড়িয়ে উপভোগ করুন আপনার সিঙ্গেল জীবন।