অসাবধানতায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্যের কব্জি বিচ্ছিন্ন

সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে হাতের কব্জি হারান পুলিশ সদস্য
সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে হাতের কব্জি হারান পুলিশ সদস্য  © সংগৃহীত

গাজীপুরের নাওজোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) কারের ভেতর অসাবধানতাবশত সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন পুলিশ সদস্যের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও দুই পুলিশ সদস্য। তাদের  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো নাওজোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেডে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। ৭ নভেম্বর ন্যূনতম বেতন সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। 

কিন্তু গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর থানার জরুনসহ বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা ঘোষিত বর্ধিত বেতন প্রত্যাখ্যান করে আজ বুধবার সকাল ৯টার থেকে  বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শ্রমিকেরা বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টিসহ ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। তখন শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটের আঘাতে অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হন। এ সময় আহত এক নারী শ্রমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতোলে মৃত্যুবরণ করে। 

শিল্প পুলিশ-২ গাজীপুরের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘সকালবেলায় কোনাবাড়ী ও জরুন এলাকায় শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করলে প্রথমে তাদের কাজে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা অনুরোধ না শুনে সড়ক অবরোধ ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আহত হয়ে এক শ্রমিক মারা যান।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে গাজীপুর শিল্প এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ