আওয়ামী লীগের সামনে এ মুহূর্তে দুই পথ
সমমনা দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন করা। তাদের ভোটে আনতে দেশ-বিদেশের যেমন চাপ রয়েছে, তেমনি পর্দার আড়ালে চলছে বিভিন্ন মহলের তৎপরতাও। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও নেতা সংবিধান মেনে শর্তহীন সংলাপের বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা চলমান পরিস্থিতি উত্তরণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংলাপে বসার তাগিদ দিচ্ছে। পাশাপাশি বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ তাদের ভোটে যাওয়ার বিষয়েও ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
দ্বিতীয়ত, বিএনপি যদি না আসে, সেক্ষেত্রে সংবিধান মেনে যারা আসবে, তাদের নিয়েই নির্বাচনে যাবে ক্ষমতাসীনরা। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য অধিক সংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকারি দল। একই সঙ্গে নির্বাচনের আবহ ধরে রাখা ও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের।
শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে এবং তাদের হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি অব্যাহত রাখলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়াবে-এমন শঙ্কা বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, সেক্ষেত্রে দেশের অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হবে। এছাড়া বিএনপি ও তাদের সমমনাদের ছাড়া নির্বাচন করলে, এ নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলেও সমালোচনা হবে। পাশাপাশি সম্ভাবনা আছে নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাব পড়ার। তাই যেভাবেই হোক একটা ভালো নির্বাচন করতেই হবে। এর বাইরে কোনো সমাধান নেই-এমন অভিমতও দিয়েছেন তারা।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর ব্যত্যয় হওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া বিএনপির নিজস্ব বিষয়। তারা (বিএনপি) না আসতে চাইলে তো তাদের পায়ে ধরে নিয়ে আসা যাবে না। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছি। বিএনপি না এলেও আরও বহু দল আছে, যারা নির্বাচনে অংশ নেবে। এছাড়া নির্বাচনে জনগণের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ থাকবে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।