দেশের ইতিহাসে এমন স্বতঃস্ফূর্ত অবরোধ পালন হয়নি: নুর
দেশে ৫২ বছরে এমন স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল-অবরোধ পালন হয়নি দাবি করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুলহক নুর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে হরতালের নামে দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, গানপাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই সহিংস আন্দোলন করছি না, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল-অবরোধ করছি। সরকার প্রধানের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
রোববার (০৫ নভেম্বর) সরকারের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ১ দফা দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ সমর্থনে সকাল সাড়ে ১১টায় পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মিছিলটি পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুলহক নুর বলেন, হরতালের আগে থেকেই ডিমের হালি ৫২ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। সরকারের পতন না হলে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে এমনকি দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। তাই জনগণকে আহ্বান জানাব আপনারা রাস্তায় নামুন, রাস্তার নেমে সরকারের পতন ঘটান। এই আন্দোলন দেশের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন। এই আন্দোলন মানুষের ভোট-ভাত ও খেয়ে পরে বেঁচে থাকার আন্দোলন। সরকারের পতন না হলে দেশ একটি ব্যর্থ ও পঙ্গু রাষ্ট্র পরিণত হবে।
মিছিল ও সমাবেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, প্রতিদিন রাতে বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ যুগপৎ আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ভিন্নমতকে মাঠ থেকে সরিয়ে ফাঁকা মাঠে ১৪ সালের মতো নির্বাচন করতে মরিয়া। কিন্তু এইবার আন্তর্জাতিক বিশ্বও সোচ্চার। ইতোমধ্যে আমেরিকা, ইউরোপ, জাতিসংঘ সোজাসাপটা জানিয়ে দিয়েছে তারা বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। সুতরাং আওয়ামী লীগ যতোই চেষ্টা করুক, তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। যতোক্ষণ না পর্যন্ত সরকারের পতন হচ্ছে, জীবন বাজি রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাবে, ইনশা আল্লাহ।
এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।