আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলের নেত্রীও হতে পারবে না। আল্লার মাইর দুনিয়ার বাইর। এখন নিজেই ভেবে দেখুক কে কোথায় আছে। আমি কখনো গর্ব করি না। আমার কাছে ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের সেবা করা। আমি চাই এ দেশের মানুষ সুখে থাকুক।
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল উদ্বোধন ঘোষণা উপলক্ষ্যে শনিবার আরামবাগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা মানুষ পুড়িয়ে মারে। বাসে আগুন দেয়। আমি ঢাকাবাসীকে বলব, যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সে হাত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে হবে। যারা আগুন দেয় তাদেরও পুড়িয়ে দিতে হবে। তবেই তাদের শিক্ষা হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখনও সহ্য করছি। দেশের মানুষ ধৈর্য ধরে আছে। সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের হার আমরা কমিয়ে এনেছি। খালেদা জিয়ার আমলে যা ছিল ৪১ শতাংশ, বর্তমানে তা ১৮ শতাংশ। হতদরিদ্র ছিল ২৫ শতাংশ, বর্তমানে আমরা ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। দেশে আর হতদরিদ্র থাকবে না। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্কুলের ছেলে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে বই, উপবৃত্তি, বৃত্তি, গবেষণার জন্য টাকা- সবকিছুই আমরা দিয়ে যাচ্ছি। করোনার সময় বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি, বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। দেশের মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য নগদ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে ভাড়া করা বিমানে অনেক টাকা খরচ করে দেশে এনেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ ভালো থাকে। আর বিএনপি কী পারে? শুধু ভোট চুরি, দেশের অর্থ চুরি, জনগণকে হত্যা করা। নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন। এই ২৮ অক্টোবর কী ঘটনা ঘটাল তারা! আপনারা একবার বলেন। কোনো মানুষ যার ভেতরে সামান্য মনুষ্যত্ব আছে তারা কি এমনভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করতে পারে? বিএনপির তাণ্ডবের মুখে পুলিশ পিছু হটে যায়। তারপরও তারা ওই পুলিশ সদস্যকে ধরে যেভাবে লাঠিপেটা করে হত্যা করল, পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে যেভাবে অ্যাম্বুলেন্স পোড়াল, এমনকি তারা আমাদের নারী সদস্যদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। তারপরও পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।