ধারণ ক্ষমতার বাইরে কেন্দ্রীয় কারাগার, বন্দি পাঠানো হচ্ছে কাশিমপুরে
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হলেও বর্তমানে সেখানে আছেন ১১ হাজারের বেশি বন্দি। গত এক সপ্তাহে কারাগারটিতে ২ হাজার ৮২৯ জন বন্দিকে রাখা হয়েছে। চাপ সামাল দিতে অনেক বন্দিকে গাজীপুরে অবস্থিত কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও পুলিশ সদস্য আমিরুলকে পিটিয়ে হত্যার পর থেকে দেশের রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এছাড়া বিএনিপির চলমান হরতাল ও অবরোধে যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের সাথে সংঘর্ষসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িতের অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব মামলায় দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যার প্রভাব পড়েছে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি থাকায় হিমশিম খাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। চাপ সামাল দিতে অনেক বন্দিকে গাজীপুরে অবস্থিত কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা, উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর থেকে গতকাল (১ নভেম্বর) পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় ২ হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ অক্টোবর ৩১ জন, ২২ অক্টোবর ৪২ জন, ২৩ অক্টোবর ৪২ জন, ২৪ অক্টোবর ৮৫ জন, ২৫ অক্টোবর ১১১ জন, ২৬ অক্টোবর ২০২ জন, ২৭ অক্টোবর ৩৪০ জন, ২৮ অক্টোবর ৬৯৬ জন, ২৯ অক্টোবর ২৫৬ জন, ৩০ অক্টোবর ১৫৮ জন, ৩১ অক্টোবর ১৪১ এবং সর্বশেষ গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) ৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার বলেন, ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি ধারণক্ষমতা চার হাজার ৫৯০ জন। বর্তমানে ১১ হাজারের বেশি বন্দি রয়েছে সেখানে। সম্প্রতি বন্দির সংখ্যা আরও বেড়েছে। কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা একটা সমন্বয় করে প্রতিদিন কিছু কিছু সেখানে পাঠাচ্ছি। আগে থেকেই ঢাকার বন্দিরা কাশিমপুর কারাগারে থাকেন। এখন সেই সমন্বয়টা আরও সুন্দরভাবে করছি।’
সুপার সুভাষ কুমার জানান, গত কয়েক দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো বন্দিদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন নাশকতা ও জ্বালাও-পোড়াও মামলার আসামি। সহিংসতার মামলার গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আবার কেউ কেউ আছেন পুলিশের রিমাণ্ডে।