বাবা টিয়ারশেলের আঘাতে মারা যাননি: নিহত সাংবাদিক নেতার মেয়ে
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালে টিয়ারশেলের আঘাতে রিকশা থেকে পড়ে সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া (৭৩) মারা গেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলেও তার মেয়ে উর্মি জানিয়েছেন, টিয়ারশেলের আঘাতে নয়, বরং মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মারা গেছেন তার বাবা।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে বিভিন্ন খবর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রয়াত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার মেয়ে উর্মি বলেন, আমার বাবার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি কোনো সংঘর্ষেও জড়াননি। রিকশা করে যাওয়ার পথে বাবা হঠাৎ স্ট্রোক করে রিকশা থেকে পড়ে যান। এরপর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। আমার বাবা টিয়ারশেলের আঘাতে মারা গেলে আমরা জিডি করতাম বা অভিযোগ করতাম। কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা এগুলো করিনি। আমরা কিছু না বললেও কিছু মানুষ এই ঘটনা বিভিন্নভাবে প্রচার করছে।
বাবার মৃত্যু নিয়ে যেসব খবর ছড়ানো হচ্ছে তা মিথ্যা উল্লেখ করে প্রয়াত রফিক ভূঁইয়ার মেয়ে আরও বলেন, আমার বাবা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু তিনি কোনো সুবিধা নেননি। এজন্য তিনি মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটও ছিঁড়ে ফেলেছেন। এই মানুষটাকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকুন।
এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের মহাসমাবেশের দিন প্রেস ক্লাবে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় রিকশা থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পান রফিক ভূঁইয়া। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয় যে সংঘর্ষের সময় পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের কারণে তার রিক্সা দুর্ঘটনার মধ্যে পতিত হয়। প্রয়াত রফিক ভূঁইয়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ও সাপ্তাহিক নতুন কাগজের সম্পাদক ছিলেন।