বগুড়ায় আ.লীগ-বিএনপি-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ
বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে বগুড়ায় বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মাটিডালি, বনানী, বাইপাসসহ বিভিন্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী বনানী এলাকার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তাদের অবরোধে ঢাকা থেকে আগত একাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে অবস্থান নেয়।
এর পরপর শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন ছান্নু মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বনানী দ্বিতীয় বাইপাস এলাকায় আসেন। তারা সেখানে আসামাত্র দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় উভয়পক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় অবরোধকারীরা তিনটি মোটর সাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাশাপাশি তারা বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর চালায়।
এদিন বগুড়া সদর উপজেলার মাটিডালি এলাকার মহাসড়কে অন্তত পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা। জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে একটি দল সেখানে অবরোধ করে। এই সময় তারা মহাসড়কে ইট-পাটকেল ফেলে টায়ারে আগুনে জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। একপর্যায়ে সেখানে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করা হলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে সদরের এরুলিয়ে থেকে কাহালুর দরগাহাটা পর্যন্ত অবরোধ করে চোরাগুপ্ত হামলা চালিয়ে যানবাহন ভাংচুর করা হয়। সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করেন পিকেটাররা। পরে বগুড়া সদর থানা পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকদফা তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, জেলার গুটিকয়েক স্থানে দুর্বৃত্তরা চোরাগুপ্ত হামলা চালিয়ে মানুষের জানমালের ক্ষতির চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।