কিশোরগঞ্জে ছাত্রদল-পুলিশ সংঘর্ষ, ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর
কিশোরগঞ্জে বিএনপির ডাকা হরতালে রোববার সকালে ছাত্রদল সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করে হরতালকারীরা। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা শহরের পুরাতন থানা রেললাইনের কাছে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় হরতাল পালনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে রেললাইনের পাথর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
এ ছাড়া শহরের পুরাতন থানা লেভেল ক্রসিং এলাকায় জেলা সরণি মোড়, বটতলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে ওইসব এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধের চেষ্টা করছেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, পুলিশের টহলরত গাড়িকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতকারীরা অতর্কিত রেললাইনের পাথর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে তিনিসহ অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুষ্কৃতকারীরা ইটনার ইউএনও ও দুদকের উপপরিচালকের গাড়িতেও হামলা চালায়।
এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করায় হরতাল সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইটনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু রিয়াদ বলেন, তিনি গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। আজ রোববার সকালে তাঁকে করিমগঞ্জে বালিখলা ফেরিঘাটে নামিয়ে গাড়ি আবার কিশোরগঞ্জে আসার পথে শোলাকিয়া এলাকায় গাড়িতে হামলা হয়। গাড়ির সামনের ও পেছনের কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।