সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি ডুজার
রাজধানী ঢাকায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে (বিএনপি-আওয়ামী লীগ-পুলিশ) সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)। একইসাথে, ঘটনায় জড়িতদেরকে চিহ্নিত করে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) ডুজার সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে ২৮ অক্টোবর দুই রাজনৈতিক দল ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজধানীর কয়েকটি স্থানে প্রায় ২০ জন সংবাদকর্মীরকে আহত করা হয়। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন বলে আমরা গণমাধ্যমসূত্রে জেনেছি। আহত সকলের প্রতি আমরা সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং সুস্থতা কামনা করছি। পাশাপাশি, হামলাকারীদের এহেন গর্হিত কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমকে একটি দেশের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। আর সেই সংবাদমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সচল রাখে মাঠ পর্যায়ের সংবাদকর্মীরা। সাংবাদিকতার নিয়মনীতি অনুসরণকারী সংবাদকর্মীরা নির্দিষ্ট কোন পক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত না হয়ে প্রকৃত ঘটনা বা সত্যকে প্রকাশ করতেই সর্বদা নিরলসভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে, যারা মিথ্যা ও অন্যায়ের বশবর্তী হয়ে, সত্যকে গোপন করে স্বীয় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বলবৎ রাখতে চায় একমাত্র তারাই সাংবাদিকদের ওপর পেশিশক্তির ব্যবহার করে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। যা, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি এবং সাংবাদিকতা পেশার জন্য হুমকির।
বিভিন্ন সময় সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্ৰ করে প্রায়শই সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা, মোবাইল বা সংবাদ সংগ্রহের ডিভাইস ছিনিয়ে নেওয়া, হুমকি প্রদান এবং লাঞ্ছিত করাসহ নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। যার অধিকাংশ ঘটনাতেই দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
২৮ অক্টোবর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদকর্মীদের ওপর যে বা যারাই এভাবে ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককেই চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছি।