অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
চাঁদপুরে মেঘনা নদী থেকে সেলিম খানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির এতে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আছে। নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী মন্তব্য করেছিলেন, বালু উত্তোলনের সঙ্গে 'একজন নারী মন্ত্রীর’ সম্পর্ক আছে’।
এ বিষয়ে একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। চাঁদপুরে একজনই নারী মন্ত্রী আছেন, সেটা আমি। আমার সঙ্গে কোনো অবৈধ বালু উত্তোলন বা ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কর্তৃক নদী দখলে সহায়তা বা পৃষ্ঠপোষকতার প্রশ্নই ওঠে না। গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন এক ব্যক্তির এমন বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
কয়েকটি সরকারি দপ্তরে ১৫টি ডিও লেটার পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রতিটি চিঠিতে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেওয়া আছে, সেগুলো কেন পাঠানো হয়েছে। মেঘনায় নাব্যতার সমস্যা সম্পর্কে সবাই জানেন। কীভাবে ডুবোচরগুলোকে এড়িয়ে চলতে হয়, কীভাবে নৌযান ডুবোচরে আটকা, তা মানুষ জানেন।’
তিনি বলেন, ‘নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং অপরিহার্য। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলিত বালু ব্যবহৃত হয়। মেঘনায় মূলত নাব্যতা রক্ষায় ও ভাঙন রোধে ডুবোচর বা চর কেটে দিতে ড্রেজিং হয়। এর মাধ্যমে সরকারও রাজস্ব আয় করে। উত্তোলনকারীদের জন্য এটি ব্যবসা। এলাকার কেউ কোনো বৈধ কাজ করতে চাইলে সে কাজে তাকে সহায়তা করা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এলাকার দলীয় নেতা ও চেয়ারম্যান যখন বৈধভাবে বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়েছেন, তখন নাব্যতা রক্ষা এবং ভাঙন রোধে তাকে সহযোগিতার জন্য ডিও দিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যদি সেলিম খানের বালি উত্তোলন অবৈধ হতো, তবে প্রশাসন, পুলিশ, নৌ পুলিশ বা কোস্ট গার্ড জানাতো। সংশ্লিষ্ট দপ্তরও জানাতো। কেউ কখনো প্রশ্ন তোলেনি। নিয়মনীতি অনুসরণ করেই বালু উত্তোলন হয়েছে।’
আরো পড়ুন: সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীর মৃত্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর শোক প্রকাশ
সেলিম খানের সরকারি কোষাগারে অর্থ না দিয়ে ব্যবসা চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো তথ্য আমার জানা ছিল না।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কারো সঙ্গেই ব্যবসায় জড়িত নই। আমি চিকিৎসক, আইনজীবী ও জনস্বাস্থ্য পেশাজীবী। যদি কোনো রাজনীতিক বা বাসিন্দা এমন কথা বলেন, তাহলে তিনি কিছুই জানেন না অথবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার করছেন।’
দীপু মনি বলেন, সেলিম খানের ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রচার করেছে মাত্র, সাংগঠনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। কেন্দ্রীয় কমিটির কাছেও তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেনি। কাজেই সেলিম খান বহিষ্কৃত নন। একটি ইউনিটের সভাপতি হিসেবে দলীয় কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশ নেন তিনি।’