২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৪৯

খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না: খুরশীদ আলম

বেগম খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম  © সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা পরিচালনাকারী সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সোমবার (২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া কিংবা হাজী সেলিম দুই বছর বা তার বেশি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাই হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী খালেদা জিয়া কিংবা হাজী সেলিমসহ সাজাপ্রাপ্ত কেউই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

এসময় খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট গতকালের প্রকাশিত রায়ে বলেছেন যে সাজা কখনও স্থগিত হয় না। উপর্যুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নাই।

তিনি বলেন, এই রায়ের আলোকে খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিমসহ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ তাদের সাজা বাতিল হয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ সংশোধন করেন বা বাতিল করেন, সেটা ভিন্নকথা।

এর আগে রবিবার হাইকোর্ট থেকে প্রকাশিত এক রায়ে বলা হয়, উচ্চ আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল না হলে অথবা সাজা ভোগের পর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে আপিল বিচারাধীন ও জামিনে থাকা কোন দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

প্রকাশিত রায়ে বলা হয়, এই মামলা থেকে জানা যায় যে আবেদনকারীদের বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তারা দুর্নীতির জন্য দণ্ডিত হয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ একটি গুরুতর অপরাধ। একজন ব্যক্তির সততার মূলে আঘাত করে দুর্নীতি।

একজন সংসদ সদস্য হলেন ক্ষমতা, সম্পত্তি ও জনগণের কল্যাণের ট্রাস্টি। তাদের উচ্চ নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের সততা থাকতে হবে। এর থেকে কোনো বিচ্যুতি হলে তা সততা ও নৈতিক স্খলন হিসাবে বিবেচিত হয়। আমরা মনে করি, যে অপরাধের জন্য আবেদনকারীদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তা তাদের নৈতিক স্খলন।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে আপিলে বিচারাধীন অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট।

দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত চেয়ে আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ ওই রায় দেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রবিবার ওই পর্যবেক্ষণসহ ৪৪ পৃষ্ঠার ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।