খানজাহান আলী (রহ.) মাজারের কুমিরকে হত্যার অভিযোগ
বাগেরহাটের হজরত খানজাহান (রহ.)-এর মাজারের দিঘির মিঠাপানি প্রজাতির একটি কুমির মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দিঘির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে মাজার শরিফের খাদেম মোস্ত ফকিরের পুকুরে মাদ্রাজি পুরুষ কুমিরটি মরে ফুলে ভেসে ওঠে। মাজার দিঘিতে থাকা দুটি কুমিরের একটি মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হন।
মিঠাপানি প্রজাতির একটি কুমির প্রায় দেড়শ’ বছর বেঁচে থাকলেও এই কুমিরটির বয়স হয়েছিল মাত্র ৩০ বছর। দিঘির কুমিরকে হত্যা করা হয়েছে, মাজার শরিফের প্রধান খাদেমের এমন অভিযোগের পর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের তত্ত্বাবধানে কুমিরটির মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে দিঘি থেকে তীরে তোলা হয়েছে।
খানজাহান (রহ.) মাজার শরিফের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বলছেন, ‘দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে খাদেম মোস্ত ফকির তার পুকুরে আটকে রেখে অধিক পরিমাণ ঘুমের অষুধ খাওয়ানোয় কুমিরটি মারা গেছে। এ ঘটনার পর গ্রেফতার এড়াতে ওই খাদেম পালিয়ে গেছে।’
১৪ শতকের প্রথম দিকে নিজের শাসনামলে হজরত খানজাহান আলী (রহ.) ‘কালাপাহাড়’ ও ‘ধলাপাহাড়’ নামে দুটি কুমির নিজ হাতে এই দিঘিতে ছাড়েন বলে কথিত আছে। সাড়ে ছয়শ’ বছর পর ওই কুমিরের সর্বশেষ বংশধর ধলাপাহাড় ২০১৫ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যায়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান জানান, খানজাহান (রহ.) মাজার দিঘির কুমির আটকে রেখে অধিক পরিমাণ ঘুমের অষুধ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, মাজার শরিফের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির এমন অভিযোগ করেন। এর পর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে কুমিরটির মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে দিঘি থেকে তীরে তোলা হয়েছে। এ ঘটনার পর যার পুকুরে কুমিরটি মরে ফুলে ভেসে ওঠে সেই খাদেম মোস্ত ফকির পালিয়ে গেছে। তাকে খোঁজা হচ্ছে।