পূজার পর সরকার হটানোর ‘চূড়ান্ত কর্মসূচি’ নিয়ে বিএনপির বৈঠক
আসন্ন দুর্গাপূজার পর সরকার হটানোর ‘চূড়ান্ত কর্মসূচি’ কি হতে পারে তার নিয়ে আলোচনা করতে রাতে গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টা থেকে দেড় ঘণ্টা গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। লন্ডন থেকে স্কাইপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠকে যুক্ত হন।
বৈঠকের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের সাথে যারা জড়িত সবাই একেবারে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচি পালন করছে।
এই আন্দোলনের আমরা সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। ফলে আন্দোলন একটি সফল সমাপ্তির দিকে যাচ্ছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এই প্রেক্ষাপটে আমরা বসেছি, মতবিনিময় করেছি, আন্দোলনের বিভিন্ন দিকগুলো বিশ্লেষণ করেছি। তার মাধ্যমে আগামীদিনে আন্দোলনের কর্মসূচি কি হবে সবাই মতামত দিয়েছেন এবং সেইভাবে আমরা সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যাব।
গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসিন মন্টু বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি মাত্র দাবি একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। এর কোনো বিকল্প নাই। আমরা অতীতে ’১৪ ও ’১৮ নির্বাচন দেখেছি।
আরও পড়ুন: ‘এক কোটি টাকা লাগলেও দেব, কমিটি আমার লাগবে’
আগামী জানুয়ারিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ধরে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির মধ্যে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া বিএনপি ও সমমান দলগুলো দুর্গা পূজা শেষে ‘কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেছে।
তাদের দাবি, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এরপর নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
বৈঠকে গণফোরামের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী জগলুল হায়দার আফ্রিক ও মহিউদ্দিন আবদুল কাদের এবং পিপলস পার্টির বাবুল সরদার চাখারি, মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও পারভিন নাসের খান ভাসানী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ছিলেন।