জীবিত অবস্থায় আমরা অনেক গুণীজনকে সম্মান দেই না: শিক্ষামন্ত্রী
‘গুণীজনকে সম্মান জানানোর মধ্যেও আনন্দ আছে। কিন্তু জীবিত অবস্থায় আমরা অনেক গুণীজনকে তেমন একটা সম্মান দেই না। কিন্তু এমন মানুষরা মৃত্যুর পর অনেক সম্মান এবং আলোচনার বিষয় হন। তবে যারা কবি ও সাহিত্যিক তাদের বেলায়ও এমনটাই হয়।’
চাঁদপুরে কবি ও ছড়াকার পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার ৫০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন, এমন গুণীর সংখ্যা এই চাঁদপুরেও কম নেই। যেমন তাদের একজন হচ্ছেন- কবি ও ছড়াকার পীযূষ কান্তি বড়ুয়া। চিকিৎসক হয়েও অসাধারণ লেখনী শক্তি রয়েছে তার।
তিনি আরও বলেন, এই মানুষটির জন্মদিনে তার পাশে থাকতে পেরে বেশ আনন্দ লাগছে। এসব গুণীজনকে অবশ্য সম্মান জানাতে হবে। কারণ, লেখালেখি আর বুদ্ধিবৃত্তির চর্চা অনেক কষ্টের। তাই তাদেরকে মূল্যায়ন করা এখন সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কবি ও ছড়াকার পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার প্রাণবন্ত পঞ্চাশে নামক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় ভৌমিক, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার, কবি ও সাংবাদিক কাজী শাহাদাত, অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ, প্রবীণদের নিয়ে কাজ করেন বিশিষ্ট সংগঠক হাসান আলী, লেখক ও গবেষক ফরিদ হাসান প্রমুখ।