সবাইকে জেলে পাঠাচ্ছেন, খেলবেন কার সঙ্গে: ফখরুল
নির্বাচনের আগে বিরোধী নেতা-কর্মীদের পুরোনো মামলায় সাজা দিয়ে সরকার মাঠ ফাঁকা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দিচ্ছেন যে খেলা হবে। কার সঙ্গে খেলবেন? বিরোধীদের সবাইকে জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। খালি মাঠে ওয়াকওভার নিয়ে জিততে চাচ্ছেন।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ (নুরুল-রাশেদ)।
যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণ অধিকার পরিষদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ পরপর দুটি নির্বাচনে ছলচাতুরী করে ভোটার উপস্থিতি ছাড়া ক্ষমতা দখল করেছে। একই কায়দায় এবারও নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তবে এবার বাধা দিচ্ছে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো। তারা বলছে, এবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।
এসময় দেশ ভয়াবহ সংকটের মুখে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারা জোরেশোরে বলছেন, এবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। যত নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তারা পুরোনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে বিরোধীদের সাজা দিচ্ছে। বিরোধীদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারকদের এবং মামলার অভিযোগপত্র করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না, জনগণই ভোট দেয় : প্রধানমন্ত্রী
সরকার নির্বাচনের আগে উন্নয়ন প্রকল্পের যে উদ্বোধন করছে, তাতে কাজ হবে না দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিমানবন্দরে দেখলাম, সফট ওপেনিং। বিমানের চলাচলের টারমার্ক তৈরি হয়নি, ভবনের কাজ শেষ হয়নি। তা–ও উদ্বোধন করা হচ্ছে। এসব উদ্বোধনে কাজ হবে না।
দেশের মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবণসহ জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষ বাচ্চার মুখে খাবার তুলে দিতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা প্রমাদ গুনছেন। পোশাক কারখানার মালিকেরা শ্রমিকের বেতন দিতে পারছেন না। প্রতি মাসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। দেশকে বাঁচাতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে বের হয়ে আসতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (নুর)। তিনি বলেন, সরকার দেশকে রক্তপাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গ্রাম থেকে পাড়ামহল্লায় আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। অক্টোবরের মধ্যেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। সংঘাত না চাইলে এই মাসেই সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করুন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী ও শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।