০৬ অক্টোবর ২০২৩, ২০:১০

আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না, জনগণই ভোট দেয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরি করা লাগে না। আওয়ামী লীগকে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়। জনগণ জানে নৌকায় ভোট দিলে জীবনমান উন্নত হয়। কাজের মধ্যে দিয়ে আস্থা অর্জন করি আমরা। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে আজ শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতারা মাইক লাগিয়ে মিথ্যা কথা বলে। তারা সরকারের সব কিছু খাটো করে দেখার চেষ্টা করে, কারণ ওই দলের জন্মই অবৈধ উপায়ে। যারা টিকেই আছে মিথ্যা দিয়ে, যাদের শেকড় নেই।

তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করেছে তাদের কথায় কান দেওয়া যাবে না।

তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, তারা যখন আমাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন আমার প্রশ্ন যখন মিলিটারি ডিক্টেটর ছিল, যখন আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করেছি, স্লোগান দিয়েছি, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জনগণের ভোটের অধিকার ক্যান্টনমেন্ট থেকে জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া, সেটা তো আওয়ামী লীগই করেছে। তার জন্য আমাদের বহু মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে।

আরও পড়ুন: বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে বসে থাকবো: প্রধানমন্ত্রী

এসময় সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমি স্পষ্ট বলে আসছি, ভোটের জন্য আমরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে দিয়েছি। আমি তো এমন না যে নতুন আসছি। স্কুলজীবন থেকে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এই জায়গায় এসেছি।

তিনি আরো বলেন, যারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না, তারা সব জায়গায় গিয়ে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতায় থেকে এত বেশি টাকা মানি লন্ডারিং এবং এত বেশি টাকার মালিক হয়ে গেছে, অবাধে সে টাকা খরচ করে যাচ্ছে তারা। 

শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, আওয়ামী লীগের নেতারা, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।