বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ
শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য প্রতিবছরের ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালিত হবে। এবার বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপিত হবে।
ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এটি পালন করা হয়। এ দিবসকে ঘিরে ইউনেস্কোর এবারের থিম "The teachers we need for the education we want: The global imperative to reverse the teacher shortage. অর্থাৎ, ‘কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা পেতে যেমন শিক্ষক চাই : শিক্ষক সংকট ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ।’
এই নিয়ে ইউনেস্কোর সদর দপ্তর প্যারিসে শুরু হচ্ছে ২ দিন ব্যাপী এক কর্মসূচি। এরই অংশ হিসেবে চলবে ছবির প্রদর্শনী। যেখানে শিক্ষকদের উত্সর্গ, আবেগ, এবং ভবিষ্যত গঠনের প্রতিশ্রুতিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উপলক্ষ্যে বুধবার (৪ অক্টোবর) দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, শিক্ষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরম যত্নে জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ সাধন ও নৈতিকতা বিকাশের দায়িত্ব কৃতিত্বের সাথে পালন করে যাচ্ছেন। এ কৃতিত্ব শুধু শ্রেণিকক্ষেই নয়, বৈশ্বিক মঞ্চেও দৃশ্যমান। আমাদের শিক্ষকদের অর্জন এবং কৃতিত্ব তাদের নিরলস সাধনার যথার্থ প্রমাণ। শিক্ষার ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার শিক্ষকদের জন্য গবেষণা অনুদান এবং বৃত্তি-তহবিল গঠন করেছে। এ উদ্যোগ শিক্ষকদের মর্যাদা উন্নীত করার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে দেশে জাতীয়ভাবেও উদযাপিত হবে দিবসটি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজ উদ্যোগে শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা এবং শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীসহ সকলের শ্রদ্ধাবোধ এবং সম্মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রাক্তন এবং বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীসহ অংশীজনদের অংশগ্রহণে এদিন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে র্যালি/আলোচনা সভা/সেমিনার করা হবে। এছাড়াও এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে।