বিয়ে দিচ্ছে না পরিবার, সুইসাইড নোট নিয়ে থানায় শিক্ষার্থী
সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে সুইসাইড নোট লিখে থানায় হাজির হয়েছেন শিমুল হাসান নামের এক যুবক। বিয়েতে পরিবারের মত না থাকায় তিনি এ কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিবারকে যাতে আইনি ল
জটিলতায় পড়তে না হয় এজন্য সুইসাইড নোট লিখে থানায় জমা দেন শিমুল। পরে তাকে বুঝিয়ে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে আসে পুলিশ।
আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয়া ওই কিশোর আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসূতি গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুল মান্নান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।
সুইসাইড নোটে শিমুল লিখেছেন, আমি মো. শিমুল হাসান। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং আমার বয়স ১৮। বর্তমানে আমি প্রাপ্তবয়স্ক ও আমার ভালোমন্দ আমি বুঝতে শিখেছি। অতএব আমি শিমুল হাসান সজ্ঞানে চিন্তাভাবনা করে এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, ভবিষ্যতে আমার যদি কোনো প্রকার ক্ষতি হয় কিংবা আমি মারা যাই, এর জন্য এই পৃথিবীর কেউ দায়ী থাকবে না। আমার মৃত্যুর জন্য কেবলমাত্র আমি নিজেই দায়ী। আমি মারা গেলে আইন যেন আমার পরিবারের কারও ওপর কোনো হয়রানি করতে না পারে।
আশুলিয়া থানার এসআই নোমান ছিদ্দিক বলেন, ‘রাতে সুইসাইড নোট লিখে ডিউটি অফিসারের রুমে জমা দিতে এসেছিলেন এক যুবক। পরে বিষয়টি আমার নজরে আসলে তার সাথে কথা বলি। এক পর্যায়ে বুঝিয়ে তাকে তার পরিবারের কাছে নিয়ে যাই।
‘সেখানে গিয়ে জানতে পারি ছেলেটির পরিবার অনেক দরিদ্র। তার বাবা একজন কৃষক। একটি মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি ছেলেটি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তার পরিবার এখনি সেই বিয়েতে সম্মত ছিলো না। কারণ আরও কিছুটা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তারপর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবে। এতেই ক্ষোভে-দুঃখে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ছেলেটির বাবা-মা ও আত্মীয়দের সাথে কথা বলেছি। ছেলেটিকেও বুঝিয়ে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে এসেছি। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে।’