ক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে সারাদেশে একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এরই অংশ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের ঢাকা ইউনিট কর্মবিরতি পালন করছে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার (২ অক্টোবর) সারাদেশে একযোগে এই কর্মবিরতি পালন করছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
গেল শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন বৈষম্য নিরসনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ২ অক্টোবর একদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির।
দাবিগুলো হলো- আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সব যোগ্য কর্মকর্তার পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করা, পদসৃষ্টি, স্কেল আপগ্রেডেশন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা ও শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার,প্রাথমিক ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের নিয়োগবিধি বাতিল করা, শিক্ষা ক্যাডারের পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রয়োজনীয় পদ সৃজন।
এর আগে এসকল দাবিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শিক্ষা ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি শাহেদুল খবির চৌধুরী ও মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্লা স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি দেয়া হয়। যেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি হলেও শিক্ষা ক্যাডারকে বিশেষায়িত পেশা হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি। বঞ্চনা আর বৈষম্যের মাধ্যমে এ পেশার কার্যক্রমকে সংকুচিত করা হয়েছে। এ পেশাকে গ্রাস করছে অদক্ষ অপেশাদাররা যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনের পরিপন্থী। দেশের সার্বিক শিক্ষার উন্নয়নকল্পে শিক্ষা ক্যাডারের নানাবিধ সমস্যা ও যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণের জন্য বারবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।
সর্বশেষ এসকল দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করছে শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যরা। তবে তাদের দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির।