০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৫৭

প্রেমের পর বিয়ে না করায় ক্ষোভে সহকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

আটক হওয়া তরিকুল ইসলাম ওরফে চান্দু  © সংগৃহীত

দিনাজপুর শহরে নারী হোটেল শ্রমিক জয়া বর্মণকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তরিকুল ইসলাম ওরফে চান্দু নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল শনিবার ভোররাতে জেলার খানসামা উপজেলার পাকেরহাট এলাকার একটি মিষ্টির দোকান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তরিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিকে পুলিশ দাবি করেছে, নিহত জয়া বর্মণ ও গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম একই হোটেলে কাজ করতেন। ছয় মাস আগে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তরিকুলের বিয়ের প্রস্তাবে জয়া না করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তরিকুল।

আজ রোববার দুপুরে জয়া বর্মণ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মাসুম এ দাবি করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: জানোয়ারটার চেহারা দেখতে হবে বলে সিসিএলে যাইনি: পরীমনি

ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম ও হোটেল শ্রমিক জয়া বর্মণ উভয়ে শহরের মির্জাপুর বাস টার্মিনাল এলাকার সাউদিয়া নামের একটি খাবারের হোটেলে কাজ করতেন। তরিকুল কারিগর ছিলেন। জয়া বর্মণ ধোয়ামোছার কাজ করতেন। তখন উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তরিকুল দৈনিক ২৫০ টাকা হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করতেন। বেতনের অর্ধেক টাকা জয়া বর্মণের কাছে জমা রাখতেন। কয়েক দিন আগে থেকে জয়াকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন তরিকুল। কিন্তু জয়া রাজি হচ্ছিলেন না। একটা সময় ক্ষুব্ধ হয়ে জয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তরিকুল।