ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যায়। সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা।
অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন—সহকারী শিক্ষক শাকিল আরাফাত (৩৫)। তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি পড়ান।
এদিকে সোমবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার দায়ের করেছেন। পরে সোমবারই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি সহকারী শিক্ষক শাকিল আরাফাতের কাছে তাঁর ভাড়া বাসায় প্রাইভেট পড়ত একই স্কুলের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী। সকালে প্রাইভেট পড়ে আসার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ভুক্তভোগী ছাত্রীকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের কিছু খাতা দেখে দেওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৬টার সময় যেতে বলেন। ওই ছাত্রী শিক্ষকের কথামতো সকালে তাঁর বাসায় যায়। পরে সকালে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বেড রুমে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে, ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারে গিয়ে বিষয়টি জানালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের পর পুলিশ ওই স্কুলশিক্ষক শাকিল আরাফাতকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগকারী ছাত্রীর পক্ষে তার বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় শিক্ষক শাকিল আরাফাতকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’