জিয়া বাই চান্স মুক্তিযোদ্ধা: রাসিক মেয়র
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একমাত্র সেক্টর কমান্ডার ছিলেন যিনি কখনো যুদ্ধের ময়দানে যাননি। কোনো পাকবাহিনীকে মারেননি। কেননা তারা ছিল জিয়াউর রহমানের বন্ধু, শত্রু নয়। বলা যায় জিয়াউর রহমান ঘটনাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মুক্তিযোদ্ধা বাই চান্স, ফ্রিডম ফাইটার বাই চান্স।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে অনুষ্ঠিত রাবি ছাত্রলীগের ২৬তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন, পাকিস্তানিরা জিয়াউর রহমানকে বিশ্বত অনুচর মনে করে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে পাঠায়। কিন্তু পথিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দেখা হলে বঙ্গবন্ধুর পাঠানো চিঠি পাঠ করে শুনানোর জন্য তারা তাকে কালুরঘাটে পাঠান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেকে তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে আবারো দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে। নির্বাচন আসলেই আওয়ামী লীগের বাইরের দল যারা নিজেদেরকে জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচয় দেয় কিন্তু তারা পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে মৌলবাদী ও চরমপন্থীর রাজনীতি করে, সেই জামায়াত-বিএনপির মাথা নষ্ট হয়ে যায়। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল ভোটে জয়লাভের পর কেন জানি জামায়াত-বিএনপি আর নির্বাচন করতে চায় না। তাতে আমার কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু তারা যখন বলে স্বাধীন বাংলাদেশে নির্চবান হতে দেওয়া হবে না তখন সেটা মেনে নেয়া হবে না।
বঙ্গবন্ধু আমাদের মাথার তাজ। তাঁকে তাজ মনে করে আমাদের মাথায় পরতে হবে। তাঁর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশ উন্নতির জন্য প্রাণপণে লড়াই করে যাচ্ছেন। তিনি দেশকে একটি সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন বলে উন্নত অনেক দেশ তাঁকে দেখে ঈর্ষা করে।
মেয়র লিটন বলেন, বাংলাদেশ কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যদি কারো পৈতৃক সম্পত্তি হয়ে থাকে তা হবে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমরা এখানে যারা আছি তাদের বাবা, চাচা, মিতামহ, বড় ভাইয়েরা হাতে অস্ত্র নিয়ে মুক্তির জন্য মুক্তিযোদ্ধা করেছেন। যারা দেশের উন্নতি চায় না তারা নির্বাচন আসলে জ্বালাও পোড়াও শুরু করে। তারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে চাই না। কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাই। তারা মনে করে, তারা নির্বাচনে জিতলে তা হবে বৈধ নির্বাচন আর হারলে নির্বাচন অবৈধ। এসব কথা আর চলবে না।"
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান প্রমূখ ।