১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:২২

ভারত থেকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন

দোকানে সাজিয়ে রাখা ডিম   © সংগৃহীত

চলমান ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবার ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চার প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাজার পরিস্থিতি দেখার পর আবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমদানি করা এ ডিম গুলো খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম  অর্থাৎ প্রতি পিস ১২ টাকা করে বিক্রি হবে।

অনুমোদন পাওয়া প্রতিস্থান গুলো হলো মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, টাইগার ট্রেডিং, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স এনবড সাপ্লাইয়ার্স ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড।  এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরাপর্যায়ে সরকার কর্তৃক প্রতিটি ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ১২ টাকা। তারপরও বাজারে ডিমের দাম কমেনি। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দিলো। 

ডিম আমদানির জন্য এই মুহূর্তে পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না এবং সরকারের অন্য বিধিবিধান গুলো মেনে চলতে হবে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি করা এই চার কোটি ডিম দিয়ে দেশের একদিনের চাহিদা পূরণ করা যাবে।

এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে সরকার নির্ধারিত ডিমের যে দাম ১২ টাকা। খুচরাপর্যায়ে এ দামে বিক্রি হচ্ছে না। তাই বাণিজ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আমরা কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি।

সচিব আরও বলেন, আপনারা জানেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিম লাগে। সেক্ষেত্রে আমরা একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এতে মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে কিংবা খামারিরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আমরা মনে করিনা।