১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৫৪

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা কেউ যেন বিকৃত করতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © টিডিসি ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ মুছে ফেলা হয়েছিল। শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক ও লেখকরা তাদের লেখনীতে এটি ধরে রেখেছেন। যার ফলে আমরা রাজনীতিবিদরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি। আবার যেন কখনো কেউ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা বিকৃত করতে না পারে, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে ‘শাহাবুদ্দিন: এ রেট্রোস্পেক্টিভ (১৯৭৩-২০২৩)’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, শিল্পীর আঁকা ছবি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা যায়। একই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া যায়। একটা চেতনা জাগ্রত হয়। আমাদের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই চেতনায় আমাদের বাংলাদেশের জনগণ জাগ্রত হবে এবং দেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে ভবিষ্যতেও গড়ে তুলবে। আবার যেন কখনো কেউ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা বিকৃত করতে না পারে, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই।

শিল্পীদের তুলির আঁচড় থেকেই ফুটে ওঠে আমাদের দেশের প্রকৃতি ও নানা চিত্র। দারিদ্র্য পীড়িত মানুষেরও চিত্র ফুটে ওঠে। আমি এগুলো আমার সঙ্গে রাখি। আমি দেখি, আর সহকর্মীদের বলি এই চিত্র আমি বদলাতে চাই বাংলাদেশ থেকে—বলেন সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পীর তুলির আঁচড় অনেক শক্তিশালী। আমাদের যেসব শিল্পীরা আছেন, বিশেষ করে আমাদের শাহাবুদ্দিন- আমার ছোটভাইয়ের মতো, সে তো সবার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ। এখন পর্যন্ত তার তুলির আঁচড়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুভব করি। মনে হয় যেন এখনই আবার সে মুক্তিযুদ্ধ করবে। আসলে আমরা এখনো মুক্তিযুদ্ধ করেই যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ- সবই তো মুছে গিয়েছিল। আমাদের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখকরাই কিন্তু তাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে এই চেতনাটা ধরে রেখেছেন। আজ আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সেই চেতনাটা আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা, সংষ্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ সরকারি বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। এর আগে চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে ‘শাহাবুদ্দিন: এ রেট্রোস্পেক্টিভ (১৯৭৩-২০২৩)’ শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনী উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।