শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ৫ শিক্ষার্থী আহত, ক্লাস বর্জন

শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন  © সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ছোনকা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুনের বেত্রাঘাতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বাইরে অবস্থান নেয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ছোনকা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো- নবম শ্রেণীর কাউছার, সোহাগ, রিমন, নুরাইয়া আক্তার, উম্মে সালাম মীম। 

জানা যায়, কৃষি শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুনের পোশাক নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনা হয়। তিনি মাঝে মধ্যেই খোলামেলা পোশাকে ক্লাস করেন। বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খুরশিদি খুদাকে জানিয়ে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের পোশাক পরিবর্তন করে ক্লাসে আসার আবেদন জানান। তবে আবেদনের খবর অভিযুক্ত শিক্ষকের কানে আগে পৌঁছে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গণিত শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে ক্লাসে পরে আসতে বলে শিক্ষক ফাতেমা খাতুন বেত নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করেন। পরে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তিনি কাউছার, সোহাগ, রিমন, নুরাইয়া আক্তার, উম্মে সালাম মীমকে বেধরক বেত্রাঘাত করে তাদের গুরুতর আহত করেন।

আহত কাউছার জানান, ফাতেমা ম্যাডামের ক্লাস ছিল না। তারপর বেত নিয়ে এসে কোনো কিছু না বলেই আমাদেরকে মারধর শুরু করেন। কারণ জানতে চাইলে দুশ্চরিত্রসহ বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করেন।
আরাফাত, আতিক, রিমন, নুরাইয়া আক্তার, উম্মে সালাম মীম, জীম আক্তার, হাবিবা খাতুনসহ অনেক শিক্ষার্থী জানায়, ফাতেমা ম্যাডাম অশালীন পোশাকে প্রায়ই ক্লাসে আসেন। এ নিয়ে ক্লাসে সমালোচনা হয়। তাই ম্যাডাম যেন ছোট না হয় সে জন্যই প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জানাতে চেয়েছি। কিন্তু ম্যাডাম আমাদের অন্যকিছু ভেবে বা তার অন্য কোনো রাগ আমাদের উপর ঝেড়েছে। 

মীমের অভিভাবক শরিফুল ইসলাম বলেন, অন্যায়ভাবে আমার মেয়েকে মারা হয়েছে। এভাবে মারধর করা উচিত হয়নি। এর উপযুক্ত বিচার না পেলে আইনের আশ্রয় নেব।

অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুন বলেন, বিষয়টি শোনার পর আমি আর রাগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে বেত্রাঘাত করেছি। শিক্ষক হিসেবে এটা কি আমি পারি না? আমি শাসন করেছি।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খুরশিদি খুদা বলেন, মারধরের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সানজিদা সুলতানা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ