১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২১

স্বামীর চেয়ে স্যার কীভাবে আপন হয়?

আজিজুল হক মামুন, সানজিদা ও হারুন  © ফাইল ছবি

পুলিশের এডিসি হারুন অর রশীদ ও সানজিদা আক্তার কাণ্ডে দেশের সংবাদ মাধ্যম যখন তোলপাড় তখন সানজিদার দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। মঙ্গলবার তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন।

সানজিদার বক্তব্যের সমালোচনা করে ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘‘আপনি অসুস্থ, আপনার হাজব্যান্ড জানে না, আপনার আরেক বিভাগের স্যার কীভাবে জানেন? যদি আপনি জানিয়ে থাকেন, তাহলে এপয়েন্টমেন্টের জন্য আপনি তো আপনার হাজব্যান্ডকে বলতে পারতেন। কারণ আপনার হাজব্যান্ডের পদ-পদবি আরো বড়।’’

খোকন লিখেন, ‘‘স্বামীর চেয়ে স্যার যখন বেশি আপন হয়, তখন বিষয়টা অস্বাভাবিক না? আপনার নিজের বড় বোনও ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার, যেহেতু উল্টাপাল্টা পোশাকের বিষয় আপনিই বলেছেন, ইসিজি ইটিটিতো আপনি ওনার ওখানেও করতে পারতেন।’’

এর আগে গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে সানজিদার সঙ্গে তার স্বামী আজিজুল হক মামুন ও এডিসি হারুন অর রশীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে আজিজুলের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাও এ ঘটনায় মারধরের শিকার হন।

এ ঘটনার পর থেকে চুপ ছিলেন সানজিদা। পরে গতকাল মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি। এরপর থেকে তার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

খোকন নিজের ফেসবুকে আরও লিখেন, পুলিশ হাসপাতাল হচ্ছে দেশের অন্যতম ভালো একটা হাসপাতাল, আপনিতো সেখানেও যেতে পারতেন। এই এডিসি হারুনকে একসপ্তাহ আগেও আপনার হাজব্যান্ড অনুরোধ করেছিল, তার সংসার না ভাঙার জন্য। এরপরও কেন তাকেই আপনার সাথে নিতে হলো। আর আপনার হাজব্যান্ড কেন তাকে অনুরোধ করেছিল?

সানজিদার কাছে প্রশ্ন রেখে খোকন লিখেন, আপনি যে বারডেমে এটা আপনার হাসব্যান্ড কীভাবে জানলো? ওনাকেও কি আপনিই জানিয়েছিলেন? মানে তাদের দুজনকেই আপনি জানিয়েছেন? সংসার বাঁচাতে চাওয়া কি একটি বেচারা স্বামীর জন্য অপরাধ?

এদিকে, অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমে সানজিদার দেওয়া বক্তব্যে কড়া সমালোচনা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেছেন, আমি সানজিদার সঙ্গে কথা বলিনি। সানজিদা এরকম স্টেটমেন্ট দিয়ে ঠিক করেননি। কারণ পুলিশের অনুমতি ছাড়া তিনি এরকম বক্তব্য দিতে পারেন না।