০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫০

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথমদিনে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা টোল আদায়

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে  © সংগৃহীত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত  ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। 

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট গাড়ি চলেছে ২২ হাজার ৮০৫টি। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেট  গিয়েছে ১২ হাজার ২৪২টি গাড়ি। কুড়িল থেকে বনানী ও মহাখালী গিয়েছে ২ হাজার ৪২৫টি গাড়ি। বনানী থেকে কুড়িল ও বিমানবন্দর গিয়েছে ২ হাজার ৮৯২টি গাড়ি। তেজগাঁও থেকে মহাখালী, কুড়িল, বনানী ও বিমানবন্দর গিয়েছে ৫ হাজার ২৪৬টি গাড়ি।   

এর আগে গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সড়কের চালু হওয়া অংশে ওঠা–নামার জন্য মোট র‍্যাম্প আছে ১৫টি। 

এর মধ্যে বিমানবন্দরে দুইটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুইটি ও ফার্মগেটে একটি। গতকাল থেকে ১৩টি র‍্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। 

২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাকইয়েরিত হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। পরে প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পের মূল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার। র‍্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পের শুরুতে মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার মধ্যে ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকারধরা হলেও ভূমি অধিগ্রহণ, নকশা বদল  ও নানা জটিলতায় ৪ বার সময় বৃদ্ধির ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায়।