২৮ আগস্ট ২০২৩, ২২:৪০

ঢাবির হল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাদের

গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতারা  © ফাইল ছবি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন-অর-রশিদ দাবি করে বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদল নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদল নেতারা অন্তত ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য থাকার কথা দাবি করেছেন ডিবিপ্রধান। তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রদল নেতারা অস্ত্র সংগ্রহ করছিলেন। তিনি বলেন, এর মধ্যেই আমরা চারটি অস্ত্র উদ্ধার করেছি। অন্য অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনব আমরা।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া সাত ছাত্রদল নেতার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। তারা ফেসবুকে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাদের মধ্যে কথোপকথনের ছবি ডিবির কাছে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ছাত্রদল নেতাদের গ্রেপ্তারের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটনায় এর আগেও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।

এর আগে, গত ২০ আগস্ট ডিবি জানায়, ঢাকার লালবাগ থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৭টি গুলিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগর শাখা ছাত্রদলের ছয় নেতাসহ বিএনপির মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ১৮ আগস্ট নিখোঁজ হওয়া ছাত্রদলের ছয় নেতাকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে গত ২৪ আগস্ট ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবুল হাসান চৌধুরীকে রাজধানীর হাতিরপুল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির দাবি, তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুটি গুলি এবং তিনটি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘‘কে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের সেটা আমাদের মূল বিষয় নয়। মূল কথা হলো সে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি এবং মানুষের জীবননাশের জন্য অস্ত্র ভাড়া করে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করব’’।

তিনি আরও বলেন, অনেকে বলার চেষ্টা করছেন, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে। এটা একটা রাজনৈতিক আলোচনা। আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেছি।