বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীর মায়ের মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে মানববন্ধন
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করায় যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষণারত বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিলুর রহমানের মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) মিশিগান ইউনিভার্সিটির সামনে তানজিলের মায়ের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা। এসময় তারা তানজিলের মায়ের মুক্তির দাবিসহ দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া দাবি জানান।
জানা গেছে, খুলনায় অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাশকতার পরিকল্পনা করতে বাসায় গোপন বৈঠকের সময় তাদের গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রবিবার বিকালে খালিশপুর থানা এলাকার হাজি ফয়েজ উদ্দীন সড়কের বাসা থেকে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে গ্রেফতার আনিছা সিদ্দিকার যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ছেলে ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালিকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। এর জেরে স্থানীয় যুবলীগ নেতারা তার নানার বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছেন। এ সময় তার মা প্রতিবাদ করলে থানায় নিয়ে পরে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
খুলনার খালিশপুর থানা এলাকা থেকে এক নারীকে গ্রেপ্তারের সঙ্গে তার প্রবাসী ছেলের ফেসবুক পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আইজিপি বলেন, বিষয়টি আমি পরিষ্কার করতে চাই। খুলনার একজন জামায়াতের নায়েবে আমীরের বাসায় নাশকতা এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটানোর একটি ষড়যন্ত্র চলছিল। সেখানে গোপন বৈঠকে অনেকে জড়ো হয়েছিল। সে তথ্য পেয়ে আমরা সেখানে যাই এবং অভিযান পরিচালনা করি।
তিনি বলেন, আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকে পালিয়ে যায়, পরে আমরা সেখান থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আমাদের জানা ছিল না এ তিনজন কে বা কারা। আমরা যাদের গ্রেপ্তার করেছি তাদের মধ্যে একজন মহিলা ও দুইজন পুরুষ।
তিনি আরও বলেন, ওই নারীকে গ্রেপ্তারের পর আমরা জানতে পারি তার প্রবাসী ছেলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তাই ওই নারীকে গ্রেপ্তারের সঙ্গে তার ছেলের দেওয়া স্ট্যাটাসের সম্পর্ক নেই। ওই নারীকে গ্রেপ্তারের সময় সেখান থেকে আমরা কিছু ডিজিটাল ডিভাইস পেয়েছি, নাশকতার পরিকল্পনার আলামত পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় এ সংক্রান্ত তথ্য উঠে এসেছে।