১৫ বছর পর দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী
দীর্ঘ ১৫ বছর নির্বাসনে থেকে দেশে ফিরেছিলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থিকসান সিনওয়াত্রা। দেশের মাটিতে পা রাখার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে নেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে নেওয়া হবে জেলে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে থাকসিনের দলের মনোনীত প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়ার ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় সিঙ্গাপুরের একটি বিমানে করে ব্যাংককের ডন মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। থাইল্যান্ডের কাওসদ মিডিয়া এবং থাই পিবিএস এ তথ্য জানায়। তার দেশে আগমনে তার দলের সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস করতে দেখা গেছে।
তার বোন ইয়াংলাক সিনওয়াত্রাও থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সম্প্রতি তিনি টিকটকে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে থাকসিনকে কালো কালো রংয়ের স্যুট এবং লাল টাই পড়ে থাকতে দেখা গেছে এবং তাকে হেঁটে একটি ছোট এয়ারক্র্যাপ্টে উঠতে দেখা গেছে।
২০০১ সালে জনত পার্টির প্লাটফর্ম থেকে থাকসিন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগদানের সময় একটি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বিদেশে বসবাস করছেন থাকসিন সিনওয়াত্রা।
তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং পরবর্তীতে সেচ্ছায় নির্বাসিত হয়ে বেশির ভাগ সময় তিনি দুবাইতে কাটান।
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগে থাকসিনের প্রায় ১০ বছরের সাজা রয়েছে। যা তিনি বলছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।