গ্রেপ্তার এড়াতে ভারত থেকে ফিরছেন না বিএনপির সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারত ত্যাগের ছাড়পত্র ফেলেও এ মুহূর্তে দেশে ফিরছেন না। তিনি ভারত থেকে ভাচুর্য়ালি দলীয় কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। অন্তত ১৫টি মামলার আসামি হওয়ায় গ্রেপ্তার এড়াতে দেশে না ফেরার কৌশল নিয়েছেন তিনি। তবে তিনি সময়মতো না আসলে তাঁকে ফেরাতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে সালাহউদ্দিন জানিয়েছিলেন, অনুপ্রবেশের মামলায় ২০১৮ সালে নির্দোষ ও পরে আপিলের রায় আসায় তাঁর দেশে ফেরার প্রসঙ্গটি আসে। তবে বাংলাদেশের পাসপোর্ট না থাকায় ট্রাভেল পাশের আবেদন করলে তা গত ৮ জুন অনুমোদন করে সরকার। সে সময় দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছিলেন।
এর মেয়াদ ১৭ দিন পর শেষ হচ্ছে। তবে আপাতত সালাউদ্দিন দেশে ফিরছেন না বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, সালাহউদ্দিনের নামে মামলা আছে ১৫টি। কয়েকটিতে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা আছে। সুস্থ হলে তিনি দেশে ফিরবেন। গ্রেপ্তার হলে আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করা হহবে। ট্রাভেল পাশের সময় বাড়ানোর সুযোগ আইনে আছে।
সালাউদ্দিন না ফিরলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তাঁর ভাষ্য, তার স্বেচ্ছায় দেশে আসার কথা। না আসলে কি করা যায়, তা দেখা হবে। আসার অনুমতি চাইলে দেওয়া হয়েছে। মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করলে মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে বলে জানান তিনি।
২০১৫ সালে বিএনপি রাজপথে হরতাল-অবরোধের সময় সিনিয়র নেতারা কারাগারে ছিলেন। সে সময় দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেন সালাহউদ্দিন। ওই বছরের ১০ মার্চ হঠাৎ নিখোঁজ হন। ৬৩ দিন পর ভারতের শিলংয়ে তার খোঁজ মেলে। অবৈধ প্রবেশের দায়ে মেঘালয় থানায় গ্রেপ্তারও হন। ২০১৬ সালের ভারতে থাকা অবস্থায় সালাহউদ্দিন আহমদকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে দলটি।