সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে স্কুলের গাছ কাটলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সরকারি ফজিলাতুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি মধ্য থেকে ফলবান নারিকেল গাছসহ ৪টি গাছ কেটে ফেলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী বেলাল। স্কুলের গাছ কাটা, ৩তলা ভবনের একাংশ ভেঙ্গে ফেলা, শ্রেণি কক্ষকে শিক্ষকের আবাসিক রুমে পরিণত করাসহ কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না এই শিক্ষক। এই নিয়ে অভিভাবক ও স্থানীয় মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল কমপ্লেক্স এরিয়ার মধ্যে ফলবান তিন নারকেল গাছ ও একটি রেইনট্রি (সৃষ্টি) গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এছাড়া পূর্ব পাশের ৩তলা ভবনের ২য় তলায় গিয়ে দেখাযায় ৩টি শ্রেণি কক্ষকে ৩জন শিক্ষক মিলে আবাসিক বাসস্থানে পরিণত করছেন। এবং স্কুল ছুটির পর ওই আবাসিক রুমে পরিণত করা কক্ষেই ছাত্রীরা প্রাইভেট পড়তে আসেন।
এছাড়া কিছুদিন আগে নতুন ৫তলা ভবন নির্মাণের জায়গা সম্প্রসারণ করার অজুহাতে উত্তর পাশের দোতলা ভবনের এক-তৃতীয়াংশ ভবন অনুমতি ছাড়াই ভেঙ্গে ফেলেন। বর্তমান আংশিক ভাঙ্গা ওই ঝুঁকিপূর্ণ দোতলা ভবনে দুটি শ্রেণি কক্ষের পাঠদান কার্যক্রম চলমান রেখেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী বেলাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রী জানান, কিছুদিন আগে একজন শিক্ষকের আপত্তিকর আচরণের অভিযোগে তোলপাড় হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অভিভাবক আঃ হালিম টুটুল তালুকদার, মোঃ হানিফ মুন্সিসহ আরও অনেকে জানান, ভালো ভবনটিকে আবাসিক রুমে পরিণত করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলমান রেখেছেন। যেকোনো সময় দূর্ঘনার আশংকা রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী বেলালের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, স্কুলের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গাছগুলো অপসারণ করা হয়েছে। নবনির্মিত ভবন হস্তান্তর শেষে পুরাতন ভবনের বিষয়ে নিয়মানুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেন, নিয়ম মেনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হবে।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ দেবনাথ জানান, সরকারি ফজিলাতুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকটি বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।